রাস্তা মেরামতের দাবিতে পালস পোলিও বয়কট গ্রামবাসীদের। আন্দোলনের এই পহ্না কতটা যুক্তিসঙ্গত প্রশ্ন তুলেছেনে গ্রামের মুরুব্বি থেকে স্বাস্থ্যকর্মী ও পাশাপাশি প্রশাসনের আধিকারিকরা। গ্রামের শিশুরা রাস্তায় নিরাপদে হাঁটতে পারে তারজন্য রাস্তার মেরামত নিশ্চয় ন্যাহ্য দাবী। কিন্তু পালস পোলিও বন্ধ করে দাবীপূরণ অনেকটাই আত্মঘাতী। কারন ঠিক সময়ে পালস পোলিও ড্রপস না নিলে আজন্মকাল পঙ্গু হয়ে থাকতে হবে। হাঁটা তো দূরঅস্ত! ঘটনাটি ঘটেছে নলহাটি-২ ব্লকের ন’পাড়া পঞ্চায়েতের কুমারষান্ডা গ্রামে। ঘটনাস্থলে পৌঁছান ব্লকের বিডিও রাজদীপ শঙ্কর গৌতম, জয়েন্ট বিডিও মুহাম্মদ জাহিরুল ইসলাম, পঞ্চায়েত প্রধান ইমাদাদুল হক, পঞ্চায়েত অডিট এন্ড একাউন্ট অফিসার (পাউ) বাদশা সেখ।
লোহাপুর থেকে রেল লাইনের গা বরাবর বারা গ্রাম ছাড়িয়ে উত্তরে তিন কিমি দূরে কুমার ষান্ডা গ্রাম। রেলের জায়গা হওয়ায় কোন স্কিম করে পঞ্চায়েতের পক্ষে নতুন রাস্তা নির্মাণ করা সম্ভব নয়, বলে পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গেছে। তবে মেরামতির জন্য পঞ্চায়েতের নিজস্ব ফান্ড থেকে রাস্তা সারাই করা সম্ভব। গ্রামের বাসিন্দা হাজি আব্দুল বারি, রেজাউল করিমরা জানান, লোহাপুর থেকে এই তিন কিমি রাস্তার অবস্থা খুব খারাপ। গ্রামের কোন এ্যম্বুলেন্স ঢুকতে পারে না কোন প্রসূতিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। বাচ্চারা যারা স্কুলে পড়াশোনা করে রাস্তায় দূর্ঘটনার কবলে পড়ে যেকোন সময় জীবন হানি ঘটতে পারে। তাই নিতান্ত নিরুপায় হয়ে পালস পোলিও বয়কট করে। যদিও গ্রামের বয়স্ক মানুষ হাজি আব্দুল বারি বলেন, তিনি কোন ভাবেই পালস পোলিও বয়কট সমর্থন করেন না। তাতে গ্রামের বাচ্চাদের ক্ষতি। পাশাপাশি, রাস্তা সারাই যে গুরুত্মপূর্ণ বিষয় সেটাকেও সমর্থন করেন। আর সেকারনে পুরোপুরি বয়কট কেউ করে নি। বিডিও সাহেবের আশ্বাসে পোলিও আবার চালু হয়েছে।
কৃতজ্ঞতা: পুবের কলম
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct