ফ্রান্স, জার্মানির উল্টো পথে চলতে শুরু করল অস্ট্রিয়া। সন্ত্রাস বন্ধ করার কৌশল হিসেবে ফ্রান্স, জার্মানিরা যখন বোরখা কিংবা স্কার্ফ-এর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করছে তখন ইসলামোফোবিয়া বা ইসলাম বিদ্বেষ রুখতে অস্ট্রিয়া সে দেশের সব নারীদেরকে হেডস্কার্ফ বা হিজাব পরার আহ্বান জানিয়েছে। ক্রমমবর্ধমান জাতিবিদ্বেষ যাতে অস্ট্রিয়ায় কোনও প্রভাব ফেলতে না পারে তার জন্য মুসলিমদের প্রতি সংহতি জানাতে প্রত্যেক নারীকে হেডস্কার্ফ পরার আহ্বান জানিয়েছেন অস্ট্রিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার ভন ডের বেলেন।সম্প্রতি ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে বোরখা আংশিক কখনও সম্পূর্ণ করা হয়েছে। দিনে কয়েক আগে জার্মান সংসদের নিম্নকক্ষে এ নিয়ে একটি বিলও পাস হয়। এই পরিস্থিতিতেই আলেকজান্ডারের এই বক্তব্য পাশ্চাত্যমহলে অবাক সৃষ্টি করেছে।ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকায় এই মর্মে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
অস্ট্রিয়ার বামপন্থী গ্রিন পার্টির এই নেতা আলেকজান্ডারের বক্তব্য, মত প্রকাশের স্বাধীনতা মানুষের একটি মৌলিক অধিকার। স্কুল শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে দেয়া এক বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ‘এটা প্রত্যেক নারীর অধিকার যে তিনি পোশাক পরতে চান, তাই পরবেন। এই বিষয় এটাই আমার মত।’
অস্ট্রিয়ার প্রেসিডেন্ট অবশ্য হেডস্কার্ফ নিয়ে সকল নারী সমাজের উদ্দেশ্যেই আহবান জানিয়ে বলেছেন, ‘শুধু মুসলিম নারীরাই না, সব নারীই চাইলে হেডস্কার্ফ বা হিজাব পরতে পারেন। যদি এই ইসলামবিদ্বেষ চলতেই থাকে, তবে যারা ধর্মীয় কারণে এটা পরে, সেসব মুসলিমদের প্রতি সংহতি জানাতে আমরা সব নারীকে অবশ্যই হেডস্কার্ফ বা হিজাব পরতে বলব।’ আসলে সে দেশের মুসলিম নারীদের প্রতি সহমর্মিতা জানাতে আলেকজান্ডার এ কথা বলেছেন।
উল্লেখ্য, অস্ট্রিয়ায় পপুলিস্ট ফ্রিডম পার্টি অফ অস্ট্রিয়ার সক্রিয়তায় গত জানুয়ারিতে সে দেশে সম্পূর্ণ মুখ ঢাকা বোরখা নিষিদ্ধ হয় কোর্টের নির্দেশে। তাই মুখ খোলা হিজাব পরার কথা বললেন অস্ট্রিয়ার প্রেসিডেন্ট।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct