কাঁচা কলা হচ্ছে পুষ্টির পাওয়ারহাউস। সারাবিশ্বে অনেক কম ফল আছে, যাদের কলার মতো চাহিদা আছে। কলা এমন একধরনের ফল যা বিশ্বজুড়ে প্রতি ফলের দোকানে পাওয়া যায়। শুধু মাত্র পেট খারাপের প্রকোপ কমাতে নয়, কিছু জটিল রোগের ক্ষেত্রেও কাঁচা কলার কোনও বিকল্প নেই। কারণ এতে থাকে কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি৬ ও ভিটামিন সি সহ নানা উপকারী উপাদান।
১. পেটের সমস্যাই :
কাঁচা কলা ফাইবারের একটি চমৎকার উৎস। প্রায় ১০০ গ্রাম কলা রয়েছে ২.৬ গ্রাম ফাইবার। পাচক স্বাস্থ্য এবং আমাদের হৃদরোগের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য ফাইবারগুলি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পাশাপাশি ডাইজেস্টিভ ট্র্যাকের কর্মক্ষমতা বাড়িতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। শুধু পেট খারাপ নয়, যারা প্রায়শই গ্যাস-অম্বলের সমস্যায় ভুগে থাকেন, তারাও কাঁচা কলা খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন।
২. পুষ্টির ঘাটতি :
কাঁচা কলা হচ্ছে পুষ্টির ভাণ্ডার। ফলে নিয়মিত খাদ্যতালিকায় থাকলে অনায়াসেই পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়। আর এর ফলে শরীরের কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।
৩. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ :
কাঁচা কলায় খুব কম পরিমাণের চিনির কন্টেন্ট আছে। কাঁচা কলার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৩০। যে সব ফলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৫৫- এর নিচে তাদের মধ্যে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ার কোনও সম্ভাবনাই থাকে না। ফলে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে কাঁচা কলা বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৪. ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ :
কাঁচা কলায় উপস্থিত পটাশিয়াম, শরীরে মধ্যে ব্লাড ভেসেলের কর্মক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে। সেই সঙ্গে শিরা-উপশিরার ভেতরে তৈরি হওয়া প্রেসারকেও কমিয়ে ফেলে। ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেও বিশেষ ভূমিকা আছে।
৫. ওজন নিয়ন্ত্রণ :
সবুজ কলা পুষ্টিকর ফাইবার পূর্ণ। ফাইবার ডাইজেস্ট সবচেয়ে দীর্ঘ সময় লাগে, ফলে বহুক্ষণ ক্ষুধা পায় না। তারফলে খাবার খাওয়ার পরিমাণও কমতে শুরু করে। ফলে শরীরে ক্যালরির প্রবেশ ঘটে কম। আর দীর্ঘ দিন এমনটা হতে থাকার ফলে ওজন কমতে শুরু করে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct