কাশ্মীর উপত্যকা জুড়ে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও ট্যুইটারসহ মোট ২২টি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইট বন্ধ বুধবার করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের নির্দেশে কাশ্মীরে গত ১৭ এপ্রিল থেকেই থ্রি-জি ও ৪জি মোবাইল পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। এমনকী ব্রডব্যান্ড পরিষেবাও ২জি স্পিডে নামিয়ে আনা হয়েছে।প্রশাসন জানিয়েছে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না নেয়া পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ থাকবে। ক্রমাগত ছাত্রসমাজের বিক্ষোভ স্তিমিত করতে এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।গত কয়েক মাস ধরেই সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কাশ্মীরের একাধিক জায়গায় প্রতিরোধ গড়ে তুলছে উপত্যকার বাসিন্দারা। ছাত্র–যুবদের প্রতিরোধের সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাদের। একাধিক জায়গায় সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ার ঘটনা বাড়ছে। কয়েকদিন আগেই শ্রীনগরের উপনির্বাচনে ব্যাপক প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয় সেনাবাহিনীকে।
বুধবার এক নির্দেশে জানানো হয়েছে, উপত্যকা সংক্রান্ত কোনো ছবি, মেসেজ, ভিডিও সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের মাধ্যমে কাশ্মীরে ছড়ানো যাবে না। পরবর্তী নির্দেশ না-আসা পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। নিষেধাজ্ঞা চাপানোর কারণ হিসেবে বলা হয়, একটা মহল সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের অপব্যবহার করছে। যার জেরে উপত্যকা অঞ্চলের শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে।কাশ্মীর উপত্যকায় যাতে আর নতুন করে কোনও উত্তেজনা না ছড়ায় তার জন্য এই পদক্ষেপ স্বরাষ্ট্র দফতরের।