বাজারে গিয়ে সাধারণত দুই ধরনের কুমড়া দেখতে পাওয়া যায়। একটি মিষ্টিকুমড়া আরেকটি চালকুমড়া। আমরা আনেকেই এদের গুণাগুণ জানিনা বলে খাদ্যতালিকায় নিয়মিত রাখিনা। কিন্তু এই কুমড়ার গুণাগুণ জানলে আপনি চমকে যাবেন। মিষ্টিকুমড়া ও চালকুমড়া পুষ্টিগুণে ভরপুর ও স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। খাদ্যতালিকায় নিয়মিত মিষ্টি ও চালকুমড়ার উপস্থিতি আপনাকে অনেক অসুখ-বিসুখ থেকে দূরে রাখবে।
মিষ্টিকুমড়া :
মিষ্টিকুমড়া অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ার ফলে কোলেস্টেরল কম রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি।ফলে এর অভাবজনিত রোগের হাত থেকে রক্ষা করে। যেমন সর্দি-কাশি, ঠান্ডা লাগা ও চোখের রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। রেটিনার বিভিন্ন অসুখ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
শরীরের ফ্রি রেডিক্যাল ড্যামেজ প্রতিরোধেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে। কারণ এটে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন।
মিষ্টিকুমড়া সহজেই হজম হয়। তাই হজমশক্তি বৃদ্ধি ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে মিষ্টিকুমড়া নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখতে পাড়েন।
চালকুমড়া :
চালকুমড়া রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, মিনারেল, শর্করা ও ফাইবার। যা যক্ষ্মা, কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস্ট্রিকসহ বহু রোগ উপশমে ভূমিকা পালন করে করে।
এটি আলসারের পক্ষে খুব উপকারি এছাড়াও মস্তিষ্কের স্নায়ু ঠান্ডা রাখে। চালকুমড়ার রস খেলে যক্ষ্মা রোগের উপসর্গ কেটে যায়।
শরীরের ওজন ও মেদ কমাতে অনেক উপকারী ভুমিকা রয়েছে চালকুমড়ার। বয়সের ছাপ প্রতিরোধ করতেও চালকুমড়া সাহায্য করে। চালকুমড়া অধিক ক্যালরিযুক্ত খাবারের একটি বিকল্প সবজি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct