আপনজন ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জোনে ঝুলে থাকা বিদেশি তবলিগিদের নিয়ে মামলা এক জায়গায় আনার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার শুনানির পর বিচারপতি এএম খানউইলকর, বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী ও বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার গঠিত বেঞ্চ উত্তরপ্রেদেশ সরকারকে নির্দেশ দেয় বিভিন্ন জোনে চলা বিদেশি তবলিগিদের নিয়ে মামলাগুলি একটা আদালতে নিয়ে আসার জন্য। সেই সঙ্গে এলাহাবাদ হাইকোর্টকে নির্দেশ দেওয়া হয়, ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মামলাগুলো চিহ্নিত করে এক সপ্তাহের মধ্যে যেন তালিকাভুক্ত করা হয়। সেই সঙ্গে সমস্ত মামলা আট সপ্তাহর মধ্যে শেষ করারও নির্দেশ দেওয়া হয়।
এর আগে দিল্লি থেকে ৩৪টি আবেদনের ক্ষেত্রে এই ধরনের নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। গত ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে একইভাবে পাটনা হাইকোর্টকে বলেছিল ঝুলে থাকা সব তবলিগি মামলা একটা আদালতে নিয়ে আসতে। এর ফলে তবলিগিদের নিয়ে ঝুলে থাকা মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে বিভিন্ন আদালতের রায়ে বহু বিদেশি তবলিগি জামাতের কর্মী মুক্তি পেয়েছেন জেল থেকে। দিল্লির নিজামুদ্দিনে তবলিগি জামাতের সদর দফতরে তবলিগি সম্মেলনে গত মার্চে হাজির হওয়া এই সব বিদেশি তবলিগি নানা কারণে বিভিন্ন রাজ্যে বন্দি রয়েছেন। কারও বিরুদ্ধে ভিসা আইন লংঘন, কারও বিরুদ্ধে করোনা বিধি না মানার অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ তোলা হয় করোনা সংক্রমণের জন্য তবলীগীরাই দায়ী। এরপর লকডাউনে আটকও পড়া বিদেশি তবলীগীদের বিরুদ্ধে ভিসা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ দায়ের করা হয়।
সম্প্রতি এইরকম ২৯ জন বিদেশি তবলীগি ও দেশের ছয় নাগরিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিল মহারাষ্ট্রের পুলিশ। বোম্বে হাইকোর্ট ওই মামলার শুনানিতে শুক্রবার মহারাষ্ট্রে পুলিশ ও প্রশাসনকে বলেছে, অবিলম্বে ওদের বিরুদ্ধে এফআইআর তুলে নিতে হবে। কারণ তাদেরকে বলির পাঁঠা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে তবলীগীদের নিয়ে প্রিন্ট মিডিয়া ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রচারণার সমালোচনা করা হয়েছে। এরপর অন্যান্য রাজ্যেও বিদেশি তবলিগিদের বিষয়টি নিয়েও জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশে দেশের আইন ভাঙার অভিযোগে সেখানকার বিভিন্ন জায়গায় বিহু বিদেশি তবলিগি জেলে বন্দি রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলা আদালতে মামলা রয়েছে। সেই মামলার দ্রুত শুনানির জন্য এলাহাবাদ হাইকোর্টে মামলাও চলছে। তবে, বিদেশি তবলিগিদের বিরুদ্ধে মামলাগুলি একটা আদালতে আনার বিষয়ে আর্জি জানানো হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলার শুনানি হয় শুক্রবার। শুনানির পর বিচারপতি এএম খানউইলকর, বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী ও বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার গঠিত বেঞ্চ উত্তরপ্রেদেশ সরকারকে নির্দেশ দেয় ঝুলে থাকা মামলা একটা আদালতে নিয়ে আসার জন্য।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct