মেয়েদের হোস্টেলে লাগানো হয়েছে গোপন ক্যামেরা। আর তাতে ছবি তুলে দেদার পাচার করা হচ্ছিল। অবশেষে তা ধরা পড়ল। ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর চেন্নাইতে অবস্থিত এক মহিলা হোস্টেলে। প্লাগ পয়েন্টের মধ্যে লাগানো ছিল গোপন ক্যামেরা। শুধু তাই নয়, বাল্বের ভিতর ক্যামেরা, ওয়াল হ্যাঙ্গারে ক্যামেরা, এমনকি বাথরুমেও ক্যামরা! এসব ক্যামরা ব্যবহার করে যুবতীদের গোপনে ভিডিও করা হতো। সেই ভিডিও পরবর্তীতে পাঠানো হতো মোবাইল ও ল্যাপটপে। দীর্ঘদিন ধরে এসব ক্যামরার অস্তিত্ব টের পায়নি যুবতীরা। সম্প্রতি বাথরুমের একটি প্লাগ সকেট খুলে পড়ে। আর তখনই যুবতীরা দেখতে পায় সকেটের ভেতরে ক্যামরা। এরপরই তোলপাড় শুরু হয়।
চেন্নাইয়ের আদাম্বাক্কামে অবস্থিত হোস্টেলটি চালান সম্পদ রাজ নামে এক ব্যক্তি। তার আসল বাড়ি হস্তিনাপুরমে। একজন ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রাজুয়েট তিনি। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেন নিজের বাড়ি মেয়েদের হোস্টেলের জন্য ভাড়া দেবেন। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে দুইতলা বিশিষ্ট ওই বাড়ির তিনটি রুম ভাড়া নেন ৬ যুবতী। এর আগেই ক্যামরাগুলো বসান সম্পদ।
আদাম্বাক্কামের পুলিশ ইন্সপেক্টর মুরালি বলেছেন, সম্পদ রাজ নিজে ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রাজুয়েট হওয়ার কারণে নিজেই ওই ক্যামেরাগুলো প্রতিস্থাপন করেন, যাতে অন্য কেউ এ সম্পর্কে জানতে না পারেন। তিনি বাথরুমে প্রতিস্থাপন করেন সাউন্ড-এক্টিভেটেড ক্যামেরা। এর ফলে বাথরুমে দরজা খোলার বা জল ছাড়ার শব্দ হলেই ওই ক্যামেরা একা একা সক্রিয় হয়ে পড়তো। এই ক্যামেরা ৫০০ ঘন্টা পর্যন্ত স্ট্যান্ডবাই থাকে। তবে শব্দ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা সক্রিয় হয় এবং ভিডিও রেকর্ডিং শুরু করে। একটানা ৪ ঘন্টা পর্যন্ত ভিডিও ফুটেজ রেকর্ড করতে পারে তা। সেই রেকর্ড করা ছবি পাচার করত চড়া দামে। সেই জালিয়াতি অবশেষে ধরা পড়ায় রাজের স্থান হয়েছে এখন শ্রীঘরে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct