স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বারে বারেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, দেশ থেকে ঘুসপেটিয়াদের খুঁজে বের করে বাংলাদেশে পাঠাবেন। তার নিশানা মুসলিম অনুপ্রবেশকারী তথা শরণার্থীরা। এই জোরালো ঘোষণা করার সঙ্গে সঙ্গে বিজেপি সংসদে নাগরিকত্ব বিলও পাশ জড়িয়ে নেয়। ফলে নাগরিকত্ব সংশোধনি আইন বা সিএএ এখন কার্যকর হবে। এই বলে অবশ্য বলা হয়েছে, প্রতিবেশী মুসলিম দেশ বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে মুসলিম বাদে যারা এদেশে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এসেছেন তারা নাগরিকরাও পাবে। এরপর ঘুসপেটিয়াদের বাংলাদেশে পাঠানোর ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ অমিত শাহরা।
এ নিয়ে বাংলাদেশ এতদিন কোনো কথা না বললেও এখন মুখ খুলেছে। প্রথমে তারা বলেছিল ভারত যাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো চাইছে তারা বাংলাদেশি কিনা প্রমাণ দিতে হবে। এমনকি যাদের নাম অসমের এনআরসিতে নেই তাদের বাংলাদেশে পাঠানো নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল বাংলাদেশ। এবার ভারতে সন্দেহভাজন বাংলাদেশীদের ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে ভারতের কাছ থেকে লিখিত নিশ্চয়তা চেয়েছে বাংলাদেশ।
অসমে নাগরিকপঞ্জী প্রকাশের পর ১৯ লক্ষ বাঙালিকে বাংলাদেশি তকমা দেওয়া নিয়ে শেখ হাসিনার সরকার ‘নরম’ মনোভাব নিয়েছেন বলে দেশেই সমালোচিত হচ্ছেন।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, অসমে এনআরসি প্রকাশের পর হাসিনা ব্যক্তিগত সফরে ভারতে এসেছিলেন। সেসময় ভারত সরকারের তরফে নাকি মৌখিক আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল নাগরিকপঞ্জীতে যারা ‘বিদেশী’ হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে, তাদেরকে বাংলাদেশে পাঠানো হবে। তবে তখনও ভারত লিখিত নিশ্চয়তা দিতে রাজি হয়নি। তখন ভারতের যুক্তি ছিল, এই নাগরিকপঞ্জী করা হচ্ছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী। বিষয়টি ভারতের অভ্যন্তরীন ব্যাপার বলেও অভিহিত করা হয়। কিন্তু নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের পর নতুন আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় বাংলাদেশ উদ্বিগ্ন। তাই তারা ভারতের কাছ থেকে লিখিতভাবে জানতে চায় সেদেশে 'বিদেশি' চিহ্নিত দের বাংলাদেশে পাঠানোর ব্যাপারে ভারতের মনোভাব কি। তখন তারা ঠিক করবে পুশ ব্যাক করা মানুষদের বাংলাদেশ নেবে কিনা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct