খরার ফলে ফসল উৎপন্ন না হওয়ায় মহারাষ্ট্রের বেশ কিছু গ্রাম ছেড়েছেন অনেক মানুষ৷ এতে করে গ্রামে থেকে যাওয়া মহিলা ও বৃদ্ধদের লড়াই করে বেঁচে থাকা কঠিন হচ্ছে। পাশাপাশি সেখানে দিন দিন তাপমাত্রা বাড়তে থাকায় নতুন করে অনেকেই গ্রাম ছাড়ছেন। ১০ বছর আগে মিরা সওদাগরের স্বামী নিজের জিনিসপত্র নিয়ে ২০০ কিলোমিটার দূরে নিজের কর্মস্থলে চলে গিয়েছেন। এখন আর বাড়িতেই আসেন না তিনি৷স্বামীর দেখা না পেয়ে পাঁচ সন্তানের মা ৩৫ বছর বয়সী মিরা বেশ বিচলিত৷ তবে মহারাষ্ট্র রাজ্যের পাথুরে পাহাড়ের কাছের ছোট্ট হাটকারওয়াদি গ্রামের এই মহিলা নিজের সন্তানদের আগলে রাখছেন৷ এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্রতিটি বাড়িতেই একই অবস্থা৷ বয়স্ক পুরুষ, মহিলা ও তাদের পুত্রবধূরা কেবল এখানে থাকেন, অন্য সবাই কাজ খুঁজতে বাইরে চলে গিয়েছে।' কত সংখ্যক মানুষ গ্রাম ছেড়েছে সেই পরিসংখ্যান পাওয়া না গেলেও বয়স্ক গ্রামবাসীদের ধারণা, কয়েক দশক আগেও হাটকারওয়াদি গ্রামের জনসংখ্যা ছিল ১২০০ জনেরও বেশি। এখন তা আড়াইশতে নেমে এসেছে৷ এই অঞ্চলে সাম্প্রতিক খরায় জল সংকটে ফসল উৎপাদন না হওয়া এবং ব্যাপক দারিদ্র্যের কারণে মানুষ অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে বলে তারা জানিয়েছেন৷ স্ত্রী মারা যাওয়ার পর থেকে বাড়িতে একাই থাকেন ৮০ বছর বয়সী গানপাত বান্দগার৷ পুরানো দিনের কথা মনে করে তিনি বলেন, ‘আগে ভালো বৃষ্টি হত, কোনো কোনো সময় দিনে দুই থেকে তিনবার বৃষ্টি হত, এখন আর বৃষ্টি হয় না৷গ্রীষ্মের সময় এই গ্রামটি ফাঁকা হয়ে যায়৷ ঘরে খিল দিয়ে পাশের শহরে চলে যায় সবাই৷ শুধু মহিলারা আর বয়স্করা থেকে যায় এখানে।'
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct