স্বাধীনতার ৭০ বছর পরও জাতপাত থেকে দূরে সরে যেতে পারছে না আমাদের দেশ। উত্তর ভারতের পর এবার দক্ষিণ ভারতেও দেখা গেল জাতপাতের ছায়া। তাও আবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। তাতে সমর্থন রয়েছে শিক্ষামন্ত্রীর। ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুতে। সেখানকার শিক্ষা দফতর যখন সার্কুলার জারি করেছে যে, দলিত আর উচ্চ বর্ণের তফাৎ করতে স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের হাতে রঙ্গিন ফিতে বা রিস্ট ব্যান্ড বাঁধা চলবে না তখন শিক্ষামন্ত্রী কেএ সেঙ্গোত্তাইয়ান তা খারিজ করে দেন।
উল্লেখ্য, তামিলনাড়ুর বহু স্কুলে উঁচু জাত নাকি নীচু জাত তার পার্থক্য বোঝাতে, আলাদা আলাদা রঙের রিস্ট ব্যান্ড পরছে ছোট ছোট শিশুরা। এমনকি তারা উঁচু না নীচু জাতের তা বোঝাতে নির্দিষ্ট রঙের আংটি ও কপালে তিলক কাটতে হচ্ছে। আবার কয়েকটা স্কুলের পোশাকের নিচে নিজেদের জাতের নেতার ছবি দেয়া গেঞ্জি পরে আসতে হয়। এ নিয়ে ২০০৮ সালে আইএএস অফিসাররা প্রথম আপত্তি তোলেন। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেনি তামিলনাড়ু সরকার।
তামিলনাড়ু শিক্ষা দফতর বলা হয়, যে স্কুলগুলোতে এ ঘটনা ঘটেছে তাদের খুঁজে বের করা হবে। জাত বৈষম্যের কালো বিষ সমাজে ছড়ানোর অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সেই অনুযায়ী কাজ এগোচ্ছিল। কিন্তু তাদের এ উদ্যোগে রীতিমতো জল ঢেলে দিলেন ক্ষমতাসীন এআইএডিএমকে দলের শিক্ষামন্ত্রী। শিক্ষা দফতরের পাশে থেকে এ ঘটনার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো এই প্রথাকেই সমর্থন জানান তিনি।
ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যেমন চলছিল, তেমনই চলবে। কারও বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে না। আমাকে না জানিয়েই এই প্রথা বন্ধ করার চেষ্টা হয়েছিল, কিন্তু আমি বিষয়টি জানতে পেরে পদক্ষেপ নিয়েছি। এই ঘটনায় স্বভাবতই বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct