এই মুহূতে গোটা পৃথিবীর ১১৯টি দেশের নাগরিকরা ই-পাসপোর্ট ব্যবহার করেন। অনেকের প্রশ্ন, নতুন ই-পাসপোর্টে কী বাড়তি সুবিধা থাকে? বাস্তবে ই-পাসপোর্টে থাকছে ৪২টি নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য। বর্তমানে যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্টের (এমআরপি) মতোই ই-পাসপোর্টেও একই ধরনের বই থাকবে। তবে যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্টের বইয়ের শুরুতে ব্যক্তির তথ্যসংবলিত যে দুটি পাতা আছে, তা ই-পাসপোর্টে থাকবে না। সেখানে পালিমারের তৈরি একটি কার্ড থাকবে। এই কার্ডে সংরক্ষিত চিপে পাসপোর্ট বাহকের তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। এছাড়া একটি ডিজিটাল পাতা (ডাটা পেজ) জুড়ে দেওয়া হবে। সেই পাতায় থাকবে পাসপোর্টধারীর তিন ধরনের ছবি, ১০ আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ। ভ্রমণকালে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ কম্পিউটারের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে পাসপোর্টধারীর সব তথ্য-উপাত্ত জানতে পারবেন। ই-পাসপোর্ট ব্যবহার করে বিভিন্ন বিমানবন্দরে ভিসা চেকিংয়ের জন্য ঝামেলাহীনভাবে ই-গেট ব্যবহার করে দ্রুততম সময়ে ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করা যাবে। এমআরপি ডাটা পেজে যেসব তথ্য আছে, তা ই-পাসপোর্টে স্থানান্তর করা হবে। এই ই-পাসপোর্টের মেয়াদ বয়স অনুপাতে ৫ ও ১০ বছর হবে। এই প্রক্রিয়া চালু হলে নতুন করে কাউকে এমআরপি পাসপোর্ট দেওয়া হবে না। যাদের এমআরপির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে তারা নবায়ন করতে গেলে ই-পাসপোর্ট নিতে হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct