ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে জঙ্গি হামলায় ৫০ জনের নিহতের ঘটনায় নিউজিল্যান্ড সরকার সংহতি দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দিয়েছে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দু মিনিট নীরবতা পালনের। তার মধ্যে বিতর্ক সৃষ্টি হয় নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড শহরের সবচেয়ে অভিজাত বেসরকারি একটি স্কুলে মাথায় হিজাব পরায় নিষেধাজ্ঞাকে কেন্দ্র করে। ডাওসেসান স্কুল ফর গার্লস এর হিজাব নিষিদ্ধকে মানবাধিকার বিষয়ক আইন ও নিউজিল্যান্ড বিল অব রাইটসকে লঙ্ঘন করার শামিল বলে মন্তব্য করেছে নিউজিল্যান্ডের শীর্ষ মিডিয়া। জানা গেছে, ওই স্কুলের শিক্ষক বা শিক্ষিকাদের বলা হয়েছে ইসলামিক পোশাক স্কুলের আইন ভঙ্গ করে বলে এই নির্দেশ। যদিও বিষয়টি নিয়ে হই চই হতেই মনোভাব পাল্টেছে স্কুলটি। এ সম্পর্কে
স্কুলের প্রিন্সিপাল হিদার ম্যাকরাই বলেন, ডাওসেসান স্কুল বৈচিত্রপূর্ণ মূল্যবোধে বিশ্বাস করে এবং তা অনুসরণ করে। স্কুলের নির্ধারিত পোশাকের নীতি একত্ববাদ ও একই পরিবারভুক্ত এমন একটি অনুভূতি সৃষ্টি করে। সেজন্যে ভিন্ন পোশাকে আপত্তি। তবে মসজিদে হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দেশজুড়ে দুই মিনিটের যে নীরবতা পালনের কর্মসূচি সরকার ঘোষণা করেছে তা পালন করবে স্কুলটি। সেই সঙ্গে প্রিন্সিপাল হিদার ম্যাকরাই বলেন, এদিন ‘স্কার্ভস ইন সলিডারিটি’ দিন হিসেবে কোনো ছাত্রী হিজাব পরে স্কুলে গেলে তাকে স্বাগত জানানো হবে। মুসলিম পরিবারগুলোর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে যেকোনো ছাত্রী বা অন্য কেউ স্কুলে গেলে তাকে স্বাগত জানানো হবে।
যদিও স্কুলের কিছু বিধিনিষেধের কথা তুলে ধরে জানান, স্কুলে কোনো স্বর্ণালংকার পরে আসায় মানা। পরা যায় না নেইল পলিশ, স্কার্ট। আর তা অভিভাবকদের সম্মতিতে। কিন্তু হিজাব পরে সংহতি দেখাতে কোনো বাধা নেই।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct