আপনজন ডেস্ক: গত কয়েক বছরে ভয়াবহ আকারে বেড়েছে ডেঙ্গু রোগ। প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছে হাজারের বেশি মানুষ, মারাও যাচ্ছে অনেকে। নানারকম রাসায়নিক বা ওষুধ প্রয়োগে মশা নিধন করা গেলেও সেগুলো অনেক সময় মানব দেহে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে বাড়ির বৃদ্ধ বা শিশু থাকলে এসব রাসায়নিক প্রয়োগ করাও ঝুঁকির বিষয়। তাই অনেকেই চান প্রাকৃতিক উপায়ে মশা নিধন করতে বা কমাতে। এ ক্ষেত্রে গাছ হতে পারে মশা তাড়ানোর সমাধান। এমন কিছু গাছ আছে, যা পড়ে থাকে অযত্নে, কিন্তু মশার যম। মশা দমন করতে ঘরে কিছু গাছ আনলে উপকার তো হবেই, আবার সবুজের ছোঁয়াও পাবেন একই সঙ্গে। মশা তাড়াতে তুলসীগাছ বেশ কাজের। তুলসীর একাধিক স্বাস্থ্য ও আয়ুর্বেদিক গুণের কথা জানা সবার। তবে তুলসী গাছ পরিবেশকে জীবাণুমুক্ত ও বিশুদ্ধ রাখতেও সাহায্য করে। তুলসীর গন্ধ মশা, মাছি, পোকা-মাকড়কে দূরে রাখে। এর ঝাঁজালো গন্ধ মশা দূর করে। এ ছাড়া তুলসীর রস প্রাকৃতিক কীটনাশক হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। মশা তাড়াতে পুদিনা গাছও কার্যকর। পুদিনা পাতার পেপার মিন্ট বা মেন্থলের সুগন্ধ মশা তাড়ানোর জন্য কার্যকর। এটি মশার প্রাকৃতিক কীটনাশকও বটে। দ্রুত বেড়ে ওঠা এই উদ্ভিদ ও এর পাতা থেকে তৈরি তেল মশা তাড়াতে কার্যকরী। মশা তাড়াতে ক্যাটনিপ গাছ লাগাতে পারেন।এই গাছে নেপিট্যাল্যাক্টন নামক এক প্রকারের প্রাকৃতিক উদ্ভিজ কেমিক্যাল রয়েছে, যা বিড়ালের পছন্দ এবং মশা, মাছি, পোকামাকড়কে দূর করে। এই গাছ পোকামাকড় তাড়ানোর রাসায়নিক উপাদানের চাইতেও বেশি কার্যকর। আলো-বাতাস আসে এমন স্থানে খুব সহজেই এই গাছ বেড়ে ওঠে। মশা তাড়াতে গাঁদা ফুলের গাছ লাগান।সৌন্দর্য বাড়াতে হলুদ বা কমলা রঙের গাঁদা ফুলের গাছ লাগান অনেকেই। এই ফুলের গন্ধও অনেকের পছন্দ। কিন্তু গাঁদা গাছের পাতা বা ফুলের গন্ধ একেবারে সহ্য করতে পারে না মশা। গাঁদা ফুলের পাপড়ি এবং গাছের পাতায় থাকে অ্যান্টিসেপ্টিক। যার কারণে মশা একেবারেই দূরে থাকে এই গাছ থেকে। মশা তাড়াতে ল্যাভেন্ডার গাছ লাগান।ল্যাভেন্ডারের গন্ধ মশা, মাছি একেবারেই সহ্য করতে পারে না। বাড়িতে ল্যাভেন্ডার গাছ লাগাতে না পারলেও ল্যাভেন্ডারের গন্ধ যুক্ত সুগন্ধি বা রুম ফ্রেশনার ছড়িয়ে দিন। এতেও মশার উপদ্রব থেকেও সহজে মুক্তি পাওয়া যাবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct