নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর: হরিশ্চন্দ্রপুর ১নং ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক এর উদ্যোগে হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকাজুড়ে শুরু হয়েছিল স্যানিটারি ন্যাপকিন তৈরির প্রশিক্ষণ। মহিলারা হাতে কলমে স্যানিটারি ন্যাপকিন তৈরির প্রশিক্ষণ নিয়ে বাড়িতেই শুরু করেছিলেন এই ন্যাপকিন উৎপাদনের কাজ। সম্পূর্ণ ভিন্ন ধারার জিনিস তৈরির প্রশিক্ষণ লাভ করে আর্থিক দিক দিয়ে স্বাবলম্বী হচ্ছেন এই মহিলারা। এবারে ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে এই সমস্ত মহিলাদের এই প্রশিক্ষণ প্রাপ্তির জন্য সরকারি শংসাপত্র প্রদান করা হয়। হরিশ্চন্দ্রপুর ১নং ব্লকের কমিউনিটি হলে ছোট্ট অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নেওয়া ২৪ জন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলার হাতে শংসা পত্র দেওয়া হয়। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অনির্বাণ বসু, কৃষি কর্মদক্ষ এটিএম রফিকুল হোসেন, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কোয়েল দাস, এলাকার জেলা পরিষদ সদস্য সন্তোষ চৌধুরী, ডিস্ট্রিক লেভেল ট্রেইনার আব্দুস সাত্তার ও ন্যাপকিন প্রস্তুত করা ও প্রশিক্ষণ দেওয়া এনজিওর কর্ণধর জয়শ্রী কর্মকার প্রমূখ।ডিস্ট্রিক লেভেল ট্রেনের আব্দুস সাত্তার জানান কয়েক মাস আগে আমাদের বিডিও সাহেব এর উদ্যোগে সম্পূর্ণ নতুন ধারার প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছিল। আমাদের মেয়েরা এই প্রশিক্ষণ পেয়ে নিজেরাই সেনেটারি ন্যাপকিন তৈরি করতে শিখেছিল। আজ এদেরকেই শংসাপত্র তুলে দেয়া হলো। হরিশ্চন্দ্রপুর ১নং ব্লক এলাকার বরই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার রুবা খাতুন, চন্দনা দাস, পূজা দাসেরা জানালেন লকডাউন এর সময় কাজ হারিয়েছিলাম। সেসময় বিডিও সাহেবের উদ্যোগে সম্পূর্ণ নতুন ধরার প্রশিক্ষণ লাভ করেছিলাম।
প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অনির্বাণ বসু জানালেন এলাকার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা এই ন্যাপকিন উৎপাদন করে সরাসরি জেলা সরকারি হাসপাতাল এ বিক্রি করতে পারে তার ব্যবস্থা করা হবে। আমরা চাই প্রত্যন্ত গ্রামের মহিলারা সম্পূর্ণ নতুন ধারার প্রশিক্ষণ লাভ করে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হোক।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct