আপনজন ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা মিত্ররা সরাসরি এখনো রণাঙ্গনে নামেনি, তবে রাশিয়ার আগ্রাসনের কবলে পড়া ইউক্রেনকে সশস্ত্র করে তোলার চেষ্টা করে যাচ্ছে নানাভাবে। রবিবার ভোরেও প্রতিবেশী এস্তোনিয়া থেকে একটি আন্তোনভ এএন-১২৪ উড়োজাহাজে রাইফেল, বুলেট ও অন্যান্য অস্ত্রের একটি চালান ইউক্রেনের সেনাদের জন্য পাঠানো হয়েছে। নিউ ইয়র্ক টাইমস লিখেছে, ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর এই আন্তোনভ বিমান স্নায়ুযুদ্ধের সময়কার একটি চমত্কার প্রকৌশলের নমুনা ছিল, যখন ইউক্রেন ছিল সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ। এখন ঐ উড়োজাহাজই রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের টিকে থাকার অন্যতম এক অনুসঙ্গে পরিণত হয়েছে। ইউক্রেনে এই সামরিক সহায়তা পাঠানোর অভিযানকে ১৯৪৮ ও ১৯৪৯ সালে পশ্চিম বার্লিনে আকাশপথে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছনোর ঘটনার সঙ্গে তুলনা করেছে নিউ ইয়র্ক টাইমস। যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্র দেশগুলোর আশঙ্কা, ইউক্রেনে স্থল সীমান্ত দিয়ে সহায়তা পৌঁছনোর সুযোগ হয়তো দ্রুতই বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই তারা দ্রুত ইউক্রেনীয়দের হাতে অস্ত্র তুলে দিতে চাইছে, যাতে তারা রুশ বাহিনীকে ঠেকিয়ে ইউক্রেনকে রক্ষা করতে পারে। নিউ ইয়র্ক টাইমস জানাচ্ছে, এক সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো জ্যাভেলিন ক্ষেপণাস্ত্রসহ ১৭ হাজারের বেশি ট্যাংকবিধ্বংসী অস্ত্র পোল্যান্ড ও রোমানিয়ার সীমান্ত দিয়ে ইউক্রেনে পৌঁছতে পেরেছে। এসব অস্ত্র রাজধানী কিয়েভ এবং অন্য বড় শহরগুলোতেও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। রুশ বাহিনী এ পর্যন্ত ইউক্রেনের অন্য অংশে অভিযান নিয়ে ব্যস্ত থাকায় অস্ত্র সরবরাহ পথে তারা বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারেনি। এসব অস্ত্র হচ্ছে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে দৃশ্যমান সহায়তা। এর বাইরেও পশ্চিমা সহায়তার পরিধি বিস্তৃত রয়েছে। নিউ ইয়র্ক টাইমস লিখেছে, পূর্ব ইউরোপের সেনা ঘাঁটিগুলো থেকে লুকানো অবস্হায় যুক্তরাষ্ট্রের সাইবার বাহিনী, যা ‘সাইবারমিশন টিম’ নামে পরিচিত, রুশদের ডিজিটাল হামলা মোকাবিলা করছে এবং যোগাযোগ ব্যবস্হা পর্যবেক্ষণে রাখছে। তবে তারা কতটা সফল, সে মূল্যায়ন করা কঠিন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct