আপনজন ডেস্ক: পেপসিন হচ্ছে পাকস্থলীর পাচক রস, যা আমিষ হজমে সাহায্য করে। পাকস্থলী খাদ্য হজমের জন্য ক্রমাগত হাইড্রোক্লোরিক অ্যাডিস তৈরি করে। এই অ্যাসিড যাতে পাকস্থলিকেই পুড়িয়ে না ফেলে সেজন্য পাকস্থলীর ভেতরের দেওয়ালে মিউকাসের ভারী আস্তরণ রয়েছে।দীর্ঘদিন অতিরিক্ত অ্যাসিডিটি থেকে এ আস্তরণ ভেদ করে অ্যাসিড এবং পেপসিনের যৌথ প্রতিক্রিয়ায় পাকস্থলীর ভেতরের দেওয়ালে ক্ষত তৈরি হয়, একে পেপটিক আলসার বলে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই রোগের জন্য হেলিকোব্যক্টের পাইলোরি নামের ব্যাকটেরিয়ার প্রভাব কাজ করে। পেপটিক আলসারের লক্ষণ। প্রথমে আপনি ক্ষুধা সহ্য করতে পারবেন না। বুক জ্বালাপোড়া বা পেটের ওপরের মধ্যভাগে ব্যাথা। খাওয়ার পর পর ব্যাথা কমে বা বেড়ে যাওয়া। বমি ও বমির সাথে রক্ত যাওয়া। কালো রঙের পায়খানা হওয়া। মধ্যরাতে ক্ষুধায় ঘুম ভেঙে যাওয়া। ওজন বৃদ্ধি বা হ্রাস। দীর্ঘদিনের গ্যাসের ওষুধ ব্যবহারের ইতিহাস। কয়েকমাস পর পর এসব সমস্যা ফিরে ফিরে আসা ইত্যাদি। এর চিকিৎসা না করালে আলসারের ক্ষত থেকে রক্তপাত হবে। পাকস্থলী বা অন্ত্রের দেওয়ালে ছিদ্র হবে। ইনফেকশন হবে। হজমের গোলমাল হবে। খাদ্য পাকস্থলী থেকে অন্ত্রে যেতে পারবে না। ওজন বেড়ে যাওয়া বা কমে যাবে। ১০-১৫ বছর পর শেষ পরিণতি হতে পারে ক্যান্সার। ফলে এটা থেকে সুস্থ হয়ে উঠতে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct