আপনজন ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে ওমিক্রনের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। এর উপসর্গ মৃদু হলেও বিশেষজ্ঞরা ওমিক্রনকে হালকাভাবে না দেখতে বলেছেন। যারা করোনা পজিটিভ হচ্ছে তাদের বেশির ভাগেরই ঠাণ্ডা লাগছে। এ জন্য আক্রান্তদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে এবং আইসোলেটেড থাকার প্রতি জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ডেল্টার সাথে তুলনা করলে ওমিক্রন হাসপাতালে যাওয়ার সংখ্যা এবং মৃতের সংখ্যা দুই কম। তবু ডেল্টার তুলনায় চার গুণ বেশি সংক্রামক ওমিক্রন। ঠাণ্ডা ওমিক্রনের প্রধান লক্ষণ হলেও অনেকের কাছে আরো একটি লক্ষণের কথা শোনা যাচ্ছে। শীর্ষ বিশেষজ্ঞদের মতে, ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের উচ্চ সংক্রামকতার হার রয়েছে । প্রাথমিক গবেষণায় দেখা গেছে, নতুন ভেরিয়েন্টটি মৃদু। হালকা জ্বর, ঘামাচি, শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা, রাতের ঘাম, বমি এবং ক্ষুধামান্দ্যর মতো লক্ষণগুলো শরীরে ওমিক্রনের উপস্থিতি নির্দেশ করে। সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুসারে, দুটি প্রধান ওমিক্রনের লক্ষণ হলো একটি সর্দি এবং মাথা ব্যথা। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের এপিডেমিওলজি এবং হেলথ ইনফরমেটিকসের অধ্যাপক আইরিন পিটারসন বলেন, নাক দিয়ে জল পড়া এবং মাথা ব্যথা অন্য অনেক সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে, তবে সেগুলো কভিড বা ওমিক্রনের লক্ষণও হতে পারে। চিকিৎসকের মতে, ওমিক্রনের প্রায় ২০টি উপসর্গ রিপোর্ট করা হয়েছে, যার মধ্যে সর্দি এবং মাথা ব্যথা সবচেয়ে সাধারণ। তিনি এই লক্ষণগুলোতে ভুগছে এমন রোগীদের নিয়মিত সর্দি হিসেবে গণ্য না করার পরিবর্তে অবিলম্বে পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছেন। গবেষণায় ওমিক্রনের অন্য পাঁচটি বিশিষ্ট উপসর্গ, যেমন নাক দিয়ে জল পড়া, মাথা ব্যথা, ক্লান্তি, হাঁচি এবং গলা ব্যথার বিষয়টিও তুলে ধরা হয়েছে।এ ছাড়া রাতে ঘাম, ক্ষুধা হ্রাস এবং বমি হওয়া এমন কিছু লক্ষণও লক্ষ করা গেছে রোগীদের মধ্যে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct