আপনজন ডেস্ক: আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে তৃণমূলের রাজ্য সম্মেলন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই সম্মেলনে দলের ঐক্যের বার্তা দেবেন এবং আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য তৃণমূলের রূপরেখা তুলে ধরবেন বলে জানা গেছে।
এক দশক ধরে ভাইপো ও উত্তরাধিকারী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের পর এই প্রথম তৃণমূল নেত্রীর দলের উপর একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার প্রকাশ্য দাবি সামনে এল। এ বিষয়ে তৃণমূলের এক বরিষ্ঠ নেতা বলেন,বিধানসভা নির্বাচনের আর মাত্র এক বছর বাকি। আমরা জিতব নিশ্চিত, কিন্তু আত্মতুষ্টিতে ভুগতে চাই না। তার চেয়েও বড় কথা, অভ্যন্তরীণ মতপার্থক্যকে দলের জয়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে দেওয়া যাবে না। এটাই হবে মূল বার্তা।
এদিন বিকেলে মমতার বাড়িতে যান তৃণমূলের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক। সম্মেলনের আগে ‘কৌশলগত নীতি’ নিয়ে কথা বলেন বলে সূত্রের খবর।
ডিসেম্বর থেকে তৃণমূলের বৈঠকে মমতা বারবার বলে আসছেন, অভিষেকের নেতৃত্বাধীন তথাকথিত নতুন রক্ষীর দায়িত্ব নেওয়ার কোনও সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে তিনি একাই অন্তত আরও এক দশক দল চালাবেন।
তৃণমূলের এক প্রবীণ নেতা বলেন, এই সম্মেলনে বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ, দেশকে ধ্বংস করা, বাংলায় তাদের ‘আক্রমণ’ প্রত্যক্ষ করা হবে। কিন্তু মূল কথা হল, তৃণমূলে কোনও ‘ওল্ড গার্ড’ বা ‘নিউ গার্ড’ নেই, স্রেফ ঐক্যবদ্ধ টিম মমতা টানা চতুর্থবার বিধানসভা নির্বাচনে জয় নিশ্চিত করবে।
রাজ্য মন্ত্রিসভার এক সদস্য জানান, রাজ্যেল প্রতিটি ব্লক থেকে ও বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে শুরু করে তৃণমূলের সব স্তরের নেতা ও নির্বাচিত প্রতিনিধিরা এই বৈঠকে যোগ দেবেন। তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী এবং প্রবীণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও অরূপ বিশ্বাসের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, পুরনো রক্ষীদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন,‘(সম্মেলনের) ডাক দেওয়ার পর তিনজন ব্যস্ত হয়ে পড়েন। সোমবার সন্ধ্যায় তারা তিনজন এবং অন্যরা একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করবেন যাতে সবকিছু পরিকল্পনামাফিক হয়। উল্লেখ্য, তৃণমূল ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে ২৯টি আসনে জিতলেও বেশিরভাগ শহরাঞ্চলে খারাপ ফল করেছে এবং রাজ্যের ১২৫টি পুরসভা এলাকার মধ্যে ৬৯টিতে পিছিয়ে রয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct