রঙ্গিলা খাতুন, বড়ঞা, আপনজন: রাজের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী উপস্থিতিতে বড়ঞা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহা গোষ্ফী কোন্দলকে উসকে দিলেন। তিনি বড়ঞা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি গোলাম মোর্শেদ জর্জ, বড়ঞা ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা বড়ঞা পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত এবং পরিবহণ কর্মাধ্যক্ষ মাহে আলম ও তৃণমূল নেতা আবু বাক্কারের নাম বা করে কটাক্ষ করে বলেন, তিন জগাই, মাধাই আর গদাই লুটেপুটে খাবে ভেবেছিল। কিন্তু তাদেরকে দল প্রশ্রয় দেয়নি তাই তারা জায়গায় জায়গায় বিজয়া সম্মিলনী করিয়েছেন। তিনি উক্ত তৃণমূল নেতাদের নাম না করে বলেন তারা বিজেপি ও কংগ্রেসের দালালি করছেন।
পৃথক দুটি জায়গায় তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীতে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন দল আবারো প্রকাশ্যে আসে। রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী শনিবারের এই গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে তেমন একটা মুখ খুলতে চাননি। তার সাফাই এই বিজয়া সম্মিলনীতে অনেকে আসতে পারেননি। কারণ অনেক বড় সভা এখানে সবার আসা সম্ভব নয়। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির ডাকা বিজয়া সম্মিলনী থেকে বিধায়ক, ব্লক তৃণমূল সভাপতি ও যুব সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন দলেরই প্রাক্তন যুব সভাপতি মাহে আলম, প্রাক্তন ব্লক তৃণমূল সভাপতি গোলাপ মুর্শেদ। বিজয়ী সম্মেলনে সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও মেম্বারা এই সভায় উপস্থিত ছিলেন। সেখানে তৃণমূল নেতা আবু বাক্কার অভিযোগ করেন, বড়ঞা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের যারা প্রকৃত দল করে তৃণমূল করে তাদের বিভিন্নভাবে ভয় দেখিয়ে পিছনে পুলিশ লেলিয়ে নিজেদের কার্য হাসিল করতে চাইছেন এলাকার বিধায়ক ব্লক তৃণমূল সভাপতি এবং অন্যান্যরা আসলে ব্লক সভাপতি বিজেপির একজন এজেন্ট। এলাকার বিধায়ক সবকিছু জেনে বুঝে তৃণমূল দলকে রাজ্যের নেতৃত্বকে ভুল বুঝিয়ে ওদের গুরুত্বপূর্ণ ব্লক সভাপতি পদে বসিয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct