সঞ্জীব মল্লিক , বাঁকুড়া, আপনজন: সোনামুখী ব্লকের রামপুর সতীঘাট শালী নদীর উপর থাকা ব্রিজের মাঝের অংশ ভেঙ্গে গিয়ে বিপদজনক অবস্থায় রয়েছে । আর সেই ভাঙ্গা ব্রিজের ওপর দিয়েই প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিনের পর দিন চলছে যাতায়াত । যে কোন মুহূর্তে ঘটতে পারে প্রাণ হানির মতো ভয়ংকর দুর্ঘটনা । এলাকার সাধারণ মানুষদের দাবি , গত বন্যায় শালী নদীতে জলস্তর বৃদ্ধি পেলে ব্রিজের মাঝের অংশ ভেঙ্গে যায় । ৫ থেকে ৬ মাস হয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত প্রশাসনের তরফে ব্রিজ সংস্কারের কাজ শুরু হয়নি । ফলে আমাদেরকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই ব্রিজ দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে । সাধারণ মানুষরা আরও দাবি করেন , প্রায় ৩০ থেকে ৩৫টি গ্রামের সাধারণ মানুষদের প্রতিদিন এই মুহূর্তে এই ভাঙ্গা ব্রিজ ব্যবহার করতে হচ্ছে । পিয়ারবেড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত এবং ধুলাই গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বেশ কয়েকটি গ্রামের সাধারণ মানুষদের সোনামুখী গ্রামীণ হাসপাতালে যেতে গেলে এই ব্রিজের উপর দিয়ে আসতে হয় । গ্রামের ছেলে মেয়েদের স্কুলে কলেজে যেতে গেলে এই ব্রিজ একমাত্র ভরসা । রামপুর এলাকার মানুষদেরকেও প্রতিদিন বিভিন্ন কাজের তাগিদে ওই ব্রিজ ব্যবহার করতে হয় । এই ভাঙ্গা ব্রিজ দিয়ে যাতায়াতের সময় কোন প্রাণ হারির মতো দুর্ঘটনা ঘটলে এর দায় কে নেবে সেটাই এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন ।
তাই দ্রুত ব্রীজ সংস্কার করা হোক এই মুহূর্তে একটাই দাবি এলাকার সাধারণ মানুষদের । সোনামুখী ব্লক প্রশাসনের তরফে সতর্কবার্তা দিয়ে সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে পাশাপাশি এলাকায় মোতায়েন থাকছে সিভিক ভলেন্টিয়ার যাতে করে কেউ এই ভাঙ্গা ব্রিজ দিয়ে যাতায়াত না করে । কিন্তু তারপরেও দেখা যাচ্ছে দুই চাকা থেকে চারচাকা সহ সাধারণ মানুষরা প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন । সোনামুখী বিধানসভার বিধায়ক দিবাকর ঘরামী জানান, এই ব্রিজের সমস্যা বাঁকুড়া জেলা শাসক , বিধানসভায় ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রীকেও জানিয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন। সোনামুখী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কুশল বন্দ্যোপাধ্যায় জানান , বিষয়টি আমরা জেলা পরিষদে জানিয়েছি এবং জেলা পরিষদ রাজ্যকে জানিয়েছে রাজ্য সরকার বিষয়টি অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে দেখছে । এই ব্রিজ তৈরি করতে প্রায় ১৩ কোটি টাকা খরচা হবে এবং দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন ।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct