অমরজিৎ সিংহ রায়, বালুরঘাট: দক্ষিণ দিনাজপুর জার্নালিস্টস ক্লাবের সাংবাদিকরা জেলার বালুরঘাট ও তপন ব্লক এলাকার প্রত্যন্ত গ্রামে গিয়ে সেখানকার অসহায় মানুষদের হাতে নতুন জামাকাপড় ও খাদ্য সামগ্রী তুলে দিলেন। শুধু সংবাদ সংগ্রহ ও তা পরিবেশন করাই নয়; অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানো, ক্লাবের উদ্যোগে শারদ সম্মান ও একক সম্মান প্রদান, বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে শামিল হওয়ার পাশাপাশি সমাজের বিশিষ্ট মানুষদের সাম্মানিক সদস্য পদ দেওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ দক্ষিণ দিনাজপুর জার্নালিস্ট ক্লাবের তরফে নানান সময়ে করা হয়ে থাকে। সেইমতো ক্লাবের সীমিত সামর্থ্য নিয়ে সদস্যরা দুঃস্থ, দরিদ্র, অভুক্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে, তাদের সাথে পুজোর আনন্দ ভাগ করে নিতে পুজোর অর্ঘ্য নিবেদন করলেন সহায় সম্বলহীন মানুষের সেবায়।
রবিবার দক্ষিন দিনাজপুর জার্নালিস্টস ক্লাবের তরফে করোনা বিধি মেনে ভারিলা গ্রামে গিয়ে ছোট্ট রোহিত, মাধবী, অঙ্কুশদের মতো ‘অপু-দুর্গা’দের হাতে তুলে দেওয়া হয় পুজোর উপহার হিসেবে নতুন জামাকাপড়।পুজোয় নতুন জামা, প্যান্ট পেয়ে স্বভাবতই খুশিতে আত্মহারা তারা। তেমনি এদিন ওই ভারিলা গ্রামেই বালুরঘাট ও তপন এলাকার প্রচুর অসহায় পরিবারের হাতে বস্ত্র , খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়ার পাশাপাশি চাল, ডাল, তেল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী শারদীয় উপহার হিসেবে তুলে দেওয়া হয়।
এবিষয়ে ক্লাবের সম্পাদক অনুপ স্যান্যাল জানান, আমরা সারা বছরশুধু খবর সংগ্রহ করেই নিজেদের হাত গুটিয়ে বসে থাকিনা। আমরা তার পাশাপাশি সারা বছরের বিভিন্ন সময়ে নিজেদের সমাজ সেবায় নিয়োজিত রেখে আমাদের জেলার অসহায় মানুষজনদের পাশে থাকার প্রয়াস করে থাকি। তেমনি আজ পুজোর মুখে প্রতিবারের ন্যায় এবারও বালুরঘাট ও তপন এলাকার অসহায় দুঃস্থ পরিবারের মানুষজনদের হাতে বস্ত্র, চাল, ডাল, তেল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী আমরা শারদীয় উপহার হিসেবে তুলে দিয়েছি।
এবিষয়ে ক্লাবের প্রাক্তন সম্পাদক শংকর দাস জানান, বাঙালির সবচেয়ে বড় দুর্গোৎসবে সকলকে একসাথে নিয়ে পথ চলাই আমাদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। সেইমতো প্রতিবছর শারদোৎসবে প্রত্যন্ত এলাকার অসহায় মানুষদের কাছে পৌঁছে তাদের হাতে উপহার তুলে দিয়ে থাকি আমরা। এবছরও সেইরূপ ভারিলা এলাকাকে বেছে নেওয়া হয়েছে।
এবিষয়ে ক্লাবের অন্যতম সদস্য তথা শিক্ষক রাজীব দাস জানান,পুজো মানেই নতুন জামা কাপড়, কচিকাচাদের আনন্দ। কিন্তু গ্রামগঞ্জে অনেক অসহায় পরিবারের ক্ষেত্রে সেই আনন্দে বাধ সাধে পরিবারের আর্থিক অনটন। পুজোয় ওদের নতুন পোশাক কিনে দেওয়ার সামর্থ হয় না অনেক অভিভাবকদের। সেদিকে লক্ষ রেখে আজ আমরা প্রত্যন্ত গ্রামের গরিব পরিবারের এমনই বেশ কিছু শিশু, নারী, পুরুষের মুখে হাসি ফোটাতে আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী এগিয়ে আসার প্রয়াস করেছি মাত্র।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct