সুভাষ চন্দ্র দাশ ,গোসাবা, আপনজন: তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় নির্দেশে রাজ্যের প্রায় সর্বত্র পালিত হয়ে আসছে বিজয়া সম্মিলনী ও প্রবীণ কর্মীদের সংবর্ধনা।দলীয় নির্দেশে বুধবার বিকালে প্রত্যন্ত সুন্দরবনের গোসাবা ব্লকের বিডিও অফিস মাঠে পালিত হল বিজয়া সম্মিলনী। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা জয়নগর কেন্দ্রের সাংসদ প্রতিমা মন্ডল, ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা, সুন্দরবন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তথা মন্দিরবাজার বিধায়ক জয়দেব হালদার, গোসাবা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কনভেনার তথা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের উপাধ্যক্ষ অনিমেশ মন্ডল,গোসাবা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নিলীমা মন্ডল,প্রয়াত বিধায়ক পুত্র বাপ্পাদিত্য নস্কর সহ অন্যান্যরা।
উল্লেখ্য বিধায়ক জয়ন্ত নস্করের প্রয়াণের পর গোসাবা বিধানসভা নির্বাচনে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন সুব্রত মন্ডল।বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। বিগত বেশ কিছুদিন এলাকার মানুষের কাছে সেই জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন।
এদিন বিজয়া সম্মিলনীতে তিনি অনুপস্থিত ছিলেন বিধায়ক সুব্রত মন্ডল। এছাড়াও অনুপস্থিত ছিলেন গোসাবা পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি কৈলাশ বিশ্বাস, জেলা পরিষদ সদস্য দুর্গারাণী মন্ডল সহ রাধানগর-তারানগর, ছোট মোল্লাখালি,শম্ভুনগর,বিপ্রদাসপুর ও বালি ১,২ পঞ্চায়েতের প্রধান সহ অঞ্চল সভাপতিরা।
তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মিলনীতে খোদ বিধায়ক উপস্থিত না থাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠিদ্বন্দ্ব যে প্রকাশ্যে এমনটাই মত বিরোধী বিজেপি সহ রাজনৈতিক বিশেষঞ্জদের। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে কোন গোষ্ঠিকোন্দল নেই বলে সাফাই দিয়েছেন দলের স্থানীয় নেতৃত্ব।
গোসাবা ব্লক তৃণমূল কনভেনার অনিমেশ মন্ডল জানিয়েছেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে কোন গোষ্ঠিকোন্দল নেই। বিরোধীরা রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য অপ্রচার করছে।তাছাড়াও বিধায়ক কে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। বিধানসভায় জরুরী কাজের জন্য উপস্থিত থাকতে পারেন নি।’
ঘটনা প্রসঙ্গে বিধায়ক সুব্রত মন্ডল কে ফোন করা হলে তিনি ফোন না ধরায় তাঁর কোন মন্তব্য মেলেনি। যদিও বিধায়ক অনুগামী তথা গোসাবা পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি কৈলাশ বিশ্বাস জানিয়েছেন, ‘বিজয়া সম্মিলনী ও প্রবীণ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এমনকি ফোন করেও বলা হয়নি।অনুষ্ঠান সম্পর্কে কেন জানানো হয়নি সেটা জানা নেই।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct