আপনজন ডেস্ক: দীর্ঘ যুদ্ধের পর সম্প্রতি শোনা গিয়েছে, রাশিয়ান সেনারা ক্রমে পিছিয়ে আসছে ক্রিমিয়া, কিয়েভ ছেড়ে। অনেকে বলতে শুরু করেন, এটা আসলে ইউক্রেন সেনাদের কৃতিত্ব। যদিও এর পিছনে অন্য ষড়যন্ত্র খুঁজে পাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের ধারণা, নিজেদের সৈন্য, অস্ত্র এবং সময় নষ্ট না করে রাশিয়া এবার হাঁটতে চলেছে পরামানু যুদ্ধে। আর সে কারণে নিজেদের সেনাদের পিছনে সরে আসার নির্দেশ দিয়েছে।এমন পরিস্থিতিতে ঢোক গেলা শুরু করে দিয়েছে ইউক্রেন সহ ইউরোপের বিরাট এক অংশ। এমন একটা পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার না করতে রাশিয়াকে সতর্ক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এক সাক্ষাৎকারে বাইডেন বলেন, 'এ ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করা হলে যুদ্ধের চেহারা এমনভাবে বদলে যাবে যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কখনও দেখা যায়নি।' রাশিয়া পরামানু যুদ্ধের পথে এগিয়ে গেলে জবাবে যুক্তরাষ্ট্র কী ধরনের ব্যবস্থা নেবে, সে বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট কিছু বলেননি। এদিকে রাশিয়ার কাছে ৫ হাজার ৯৭৭টি নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড বা পরমাণু অস্ত্র রয়েছে। এই হিসাব দিয়েছে মার্কিন বিজ্ঞানীদের একটি ফেডারেশন। তারা বলছেন, এর মধ্যে প্রায় দেড় হাজার ওয়ারহেডের মেয়াদ উত্তীর্ণ এবং সেগুলো বাতিল করে দেওয়ার কথা। বাকি সাড়ে চার হাজার কিংবা তার চেয়েও কিছু বেশি ওয়ারহেডের মধ্যে বেশিরভাগ কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বা রকেট, যা দূরপাল্লার হামলা চালাতে সক্ষম। বাকি অস্ত্রগুলো ছোট বা কম বিধ্বংসী পারমাণবিক অস্ত্র যা স্বল্পপাল্লা বা কম দূরত্বের। এগুলো মূলত যুদ্ধক্ষেত্র বা সাগরে ব্যবহারযোগ্য অস্ত্র। তবে এর মানে এই না যে, রাশিয়ার হাজার হাজার দূরপাল্লার পারমাণবিক অস্ত্র প্রস্তুত আছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct