আপনজন ডেস্ক: মানুষের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুঝুঁকি বাড়ছে। আগে বয়স্কদের মধ্যে এই ঝুঁকি দেখা গেলেও এখন অল্পবয়সী বয়সীরাও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে বা হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখতে প্রথমেই জীবনযাত্রা পদ্ধতি পরিবর্তন প্রয়োজন। যখন কারও হৃৎপিণ্ডের কোনও শিরায় রক্ত জমাট বেঁধে রক্ত প্রবাহে বাঁধার সৃষ্টি করে তখনই তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়। সাধারণত বয়স, উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা, অতিরিক্ত মেদ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, মদ্যপান, মানসিক চাপ ইত্যাদি কারণে হৃদরোগ হয়। অনেক সময় কেউ হৃদরোগে আক্রান্ত হলেও বুঝতে না পারায় ঝুঁকি বাড়ে। কেউ আবার বুকে কোনও ধরণের ব্যথা ছাড়াই হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কেউ হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার অন্তত এক মাস আগে থেকেই শরীর নানা সংকেত দেয়। সেগুলি হল- হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রায় ১ মাস আগে থেকেই শারীরিক দুর্বলতা এবং ঘন ঘন শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা শুরু হয়ে যায়। তাই কোনও কারণ ছাড়াই শারীরিক দুর্বলতা এবং খুব সহজেই হাঁপিয়ে উঠে ঘন ঘন শ্বাস নেওয়ার সমস্যা শুরু হলে সতর্ক থাকুন। এ ধরনের সমস্যা হলে বুঝতে হবে হৃৎপিণ্ডের বিশ্রামের প্রয়োজন। এছাড়া হঠাৎ করে অতিরিক্ত ঘেমে যাওয়ার সমস্যা শুরু হলে অবহেলা করবেন না। কারণ, এটিও হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আরেকটি লক্ষণ।
যখন হৃৎপিণ্ড ব্লক হয় তখন রক্ত সঞ্চালনে হৃদযন্ত্রের অনেক বেশি কাজ করতে হয়। এই অতিরিক্ত পরিশ্রমের ফলে ঘামের সৃষ্টি হয়। এই ঘাম সাধারণত অনেক ঠাণ্ডা হয়ে থাকে। এই ধরনের সমস্যাকে অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আগে থেকে বেশিরভাগ রোগীর বদহজমের সমস্যা এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও বুক জ্বালা ভাব হয়। অনেকেই এটাকে স্বাভাবিক বদহজমের সমস্যা ভেবে অবহেলা করেন। কিন্তু এটাও হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সংকেত হতে পারে। এর পাশাপাশি হঠাৎ করে কোনও কারণ ছাড়াই মাথা ঘোরানো, বমি বমি ভাব এবং বমি করার বিষয়গুলি অবহেলা করবেন না। অনেক সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সময় বুকে ব্যথা অনুভূত হয় না। এ ক্ষেত্রে বুকে অস্বস্তিকর অনুভূতি এবং বুকে চাপ ধরা ভারি ভাব অনুভূত হয়। এই সময় শ্বাস নিতেও সমস্যা হতে পারে। এ ধরনের সমস্যা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct