ওবাইদুল্লা লস্কর ও ওয়ারিশ লস্কর,মগরাহাট,আপনজন: দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটের মাগুর পুকুর এলাকায় জোড়া খুন। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন মগরাহাট থানার সিভিক ভলেন্টিয়ার বরুণ চক্রবর্তী যে মানুষের কাছে খুবই প্রিয় ছিল। খুনের পদ্ধতি দেখে চক্ষু চড়কগাছ সকলের। এলাকাতে ছড়িয়েছে ব্যাপক উত্তেজনা। খুন হয়েছে বরুণ চক্রবর্তী নামে এক সিভিক ভলেন্টিয়ার ও তার বন্ধু মলয় মাখাল তিনি কাপড়ের ব্যবসা করেন। প্রাথমিক সূত্রে খবর পাওয়া যাচ্ছে যে মলয় মাখাল জানে আলম-এর সাথে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায়ী সূত্রের যোগাযোগ রয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, ইমারতি দ্রব্যের সরবরাহ নিয়েই অশান্তি। জানে আলম কম দামে মাল সাপ্লাই করার আশ্বাস দেয়। আগাম টাকা নিয়ে নেয়। কিছুতেই মাল না দেওয়ায় কাল রাতে এক দফা অশান্তি হয়। জানে আলম বলে, আজ সকালে আমড়াতলা হাড়ের কারখানায় আসতে। টাকা দেবে। দেয়না। তুমুল ঝগড়া হয় বরুণ চক্রবতী ও মলয় মাটাল এর সঙ্গে। তারপরই নৃশংস ভাবে প্রথমে ধারাল অস্ত্র দিয়ে নলি কেটে এবং পরে গুলি চালিয়ে দুজনকে খুন করে জানে আলম। বরুণ চক্রবর্তী, পেশায় মগরাহাট থানার সিভিক পুলিস, তার বাড়ির লোকের দাবি, এই এলাকায় জানে আলম অবৈধভাবে পশুর হাড়ের কারখানা চালাত। হাড় থেকে সার তৈরি হত। সেই পচা হাড়ের দুর্গন্ধে মাগুরপুকুর গ্রামের বাসিন্দারা অতিষ্ঠ। এনিয়ে বরুণ একাধিকবার জানে আলমকে সতর্ক করে। এতে কর্ণপাত করা হয়নি। এরপর ষনিবার বন্ধু মলয়কে নিয়ে বরুণ হাড়ের কারখানায় আসে। সকাল নটায় জানে আলমের সঙ্গে হাড়ের দুর্গন্ধ নিয়ে তীব্র বচসা হয়। এর জেরে কারখানার একটা ঘরে দুজনকে ঢুকিয়ে বন্ধ করে, খুন করে জানে আলম। আর মলয় মাটালের বাড়ির লোকের বক্তব্য, হাড়ের কারবারের আগে জানে আলম (একসময়ের চিটফান্ড মামলায় অভিযুক্ত) মুদিখানা দোকান চালাত। তখন মলয়ের সঙ্গে তার লক্ষাধিক টাকার লেনদেন হয়। সেই টাকা ফেরত চাওয়া নিয়ে বিবাদ। সেই টাকা দিতে কারখানায় ডাকা হয়। তারপর অশান্তি ও উত্তেজনার বশে খুন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct