আপনজন ডেস্ক: দিল্লির প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত যন্তর মন্তরে মুসলিম বিরোধী স্লোগানকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং দিল্লির প্রাক্তন মুখপাত্র অশ্বিনী উপাধ্যায় কর্তৃক আয়োজিত বিক্ষোভের সময় বিভিন্ন মুসলিম বিদ্বেষী স্লোগান ভাইরাল হওয়ায় অবশেষে দিল্লি পুলিশ এফআইআর দায়ের করেছে।
এ ব্যাপারে টিভি চ্যানেল এনডিভি সূত্রে জানা গেছে, সংসদ থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে সাম্প্রদায়িক স্লোগান শোরগোল ফেলে দিয়েছে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে “রাম, রাম” স্লোগানের পাশাপাশি মুসলমানদের হত্যার হুমকি দেয়। সেই সঙ্গে বলা হয়“হিন্দুস্তানে মে রেহনা হোগা জয় শ্রী রাম কেহনা হোগা (ভারতে থাকতে হলে জয় শ্রী রাম বলতে হবে)”।
যদিও এই সমাবেশের ব্যাপারে নিজে সংশ্লিষ্ট নয় বলে দাবি করেন। অশ্বিনী উপাধ্যায় বলেন, ‘যখন এই ঘটনা ঘটেছিল, তখন আমি সেখানে ছিলাম না, আমি সচেতন ছিলাম না এবং আমি এই লোকদের আমন্ত্রণ জানাইনি। আমার চলে যাওয়ার পরে এটি অবশ্যই ঘটেছে। যারা ভিডিওতে আমরা দেখতে পাচ্ছি তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’ যদিও দিল্লি পুলিশ বলছে যে তারা ‘অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে’ একটি মামলা দায়ের করেছে।
এ বিষয়ে সিনিয়র পুলিশ অফিসার দীপক যাদব বলেন, “আমরা ভিডিওগুলি দেখছি এবং তাদের চিহ্নিত করছি। এটি একটি প্রক্রিয়া।” সোমবার গভীর রাতে, দিল্লি পুলিশ সূত্র জানায়, তারা অশ্বিনী উপাধ্যায় সহ তিনজনকে এই মামলার সম্ভাব্য সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং তাদের গ্রেফতার করা হতে পারে।
সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের জন্য নিন্দিত এক পুরোহিত নরসিংহানন্দ সরস্বতীর উপস্থিতিতে শ্লোগান দেওয়া হয়েছিল বলে অবিযোগ উঠেছে। টিভি অভিনেতা এবং বিজেপি নেতা গজেন্দ্র চৌহানও প্রতিবাদের অংশ নিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। ঔপনিবেশিক আইন এবং অভিন্ন আইন শিরোনামে এদিন আযোজন করা হয়েছিল প্রতিবাদ সভার।
পুলিশের দাবি তারা কোভিড নিয়মের কারণে ইভেন্টের অনুমতি প্রত্যাখ্যান করেছিল কিন্তু একটি বিশাল জনতা উপস্থিত হয়েছিল। তবে এটা পরিষ্কার নয় যে, কেন কোনও পুলিশ সদস্য এমন স্থানে উপস্থিত ছিলেন না যেখানে নিরাপত্তা সাধারণত গড়ের চেয়ে বেশি। যাদব বলেন, যারা সেখানে জড়ো হয়েছিল তাদের অনুমতি ছিল না। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মিম সাংসদ আসাদুদ্দিন ওয়াইসি আজ সংসদে এই ঘটনাটি উত্থাপন করে অভিযোগ করেন,যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবন থেকে ২০ মিনিট” মুসলমানদের বিরুদ্ধে গণহত্যার স্লোগান” দেওয়া হয়। তা দেখেও কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ন্ত্রিত পুলিশ নীরব। একজন ব্যক্তিকেও আটক করেনি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct