আপনজন ডেস্ক: বিশ্বের বৃহত্তম প্রবাল আবিস্কার করা হয়েছে প্রশান্তমহাসাগরের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে।বিজ্ঞানীদের দাবি বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রবাল আবিষ্কার করেছেন তাঁরা।সম্প্রতি এই আবিষ্কারটি করেন ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের একটি গবেষণা দলের ভিডিওগ্রাফার।বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন,এই বিশাল প্রবালটি সম্ভবত ৩০০ বছরেরও বেশি পুরনো। এই প্রবালটি একটি বৃহত্তম প্রবাল(মেগা প্রবাল), যা অনেক ক্ষুদ্র জীবের সমন্বয়ে তৈরি একটি একক জীব।এই প্রজাতিটি কোনও প্রবাল প্রাচীর নয় বরং একটি একক বড় প্রবাল,যা আকারে একটি নীল তিমির চেয়েও বড়।প্রশান্ত মহাসাগরের বিভিন্ন দুর্লভ অঞ্চলে জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাব বোঝার জন্য গিয়েছিলেন গবেষণা দলের সদস্যরা এবং সেইসময়ই এটি আবিষ্কৃত হয়। এই প্রবালটির প্রস্থ ৩৪ মিটার, দৈর্ঘ্য ৩২ মিটার এবং উচ্চতা ৫.৫ মিটার।বিজ্ঞানীরা এটি পানির নিচে মাপজোকের মাধ্যমে মাপেন।ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের ম্যানু সান ফেলিক্স বলেন, “আমি ডাইভিং করছিলাম এমন এক স্থানে যেখানে মানচিত্রে একটি জাহাজ ডুবির কথা উল্লেখ ছিল,তখনই কিছু অদ্ভুত কিছু চোখে পড়ে।এটি দেখতে যেন পানির নিচে কোনো বিশাল গির্জার মতো মনে হচ্ছিল।”
এই আবিষ্কারটি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয় বাকু, আজারবাইজানে আয়োজিত জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন, কোপ২৯-এ।সলোমন দ্বীপপুঞ্জের পরিবেশ মন্ত্রী ট্রেভর মানেমাহাগা জানান, “এই বিশেষ স্থানটি সুরক্ষার প্রয়োজন রয়েছে কারণ এটি আমাদের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” সলোমন দ্বীপপুঞ্জের মানুষ প্রধানত সামুদ্রিক সম্পদের উপর নির্ভরশীল এবং লবণাক্ত পানি উত্তাপের কারণে দ্বীপটি ক্রমেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই পরিবেশ সুরক্ষার পাশাপাশি অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যও তাদের জন্য প্রয়োজনীয়। গবেষণা দলটি আরও জানান, প্রবালটি “প্যাভোনা ক্লাভাস” নামে পরিচিত একটি প্রজাতি এবং এটি বিভিন্ন সামুদ্রিক জীবের বাসস্থান হিসেবে কাজ করে।বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন এই প্রবালটি অধ্যয়নের মাধ্যমে অতীতের সামুদ্রিক অবস্থা এবং জলবায়ু সম্পর্কে অনেক তথ্য জানা যাবে।
বর্তমান সময়ে উষ্ণ অঞ্চলে বসবাসরত ৪৪% প্রবাল বিলুপ্তির হুমকির সম্মুখীন,যা ২০০৮ সালের তুলনায় এক তৃতীয়াংশ বেড়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct