আরবাজ মোল্লা, নদিয়া, আপনজন: আষাঢ় মাস শেষ হতে না হতেই শুরু হয়ে গেল বর্ষা। আর গোটা শ্রাবণ মাস জুড়ে বর্ষা হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে বর্ষা শুরু হতেই জলোচ্ছ্বাস বারে ভাগীরথী নদীতে, আর তার কারণেই শুরু হয় নদীর পাড় ভাঙন। কয়েকশো পরিবারকে ভিটেমাটি ছেড়ে আশ্রয় নিতে হয় অন্যত্র। কোথাও সরকারি স্কুল, কোথাও আবার ফাঁকা মাঠে তবু খাটিয়ে। এবার বর্ষা আগমন হতেই আবারো নতুন করে ব্যাপক আতঙ্কের মুখে নদীয়ার শান্তিপুরের ভাগীরথী নদী তীরবর্তী এলাকার বসবাসকারীরা। অনেকেই জানাচ্ছেন, নদী ভাঙন রোধের কাজ শুরু হলেও তা এখনো সম্পূর্ণ হয়নি। বর্ষা শুরু হতেই বেশ কয়েকটি জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। তবে নদীর পাড় ভাঙনের কাজ যদি সঠিকভাবে না করা হয় এ বছরও নদীর পাড় ভাঙন তীব্র হওয়ার সম্ভাবনা। একদিকে যেমন ভাগীরথী নদীতে জল বেড়ে যাওয়ায় ফুষছে নদীর জল, অন্যদিকে ভিটেমাটি ছেড়ে কোথায় আশ্রয় নেবেন এই নিয়ে দুশ্চিন্তাই সারাদিন কাটাতে হচ্ছে তাদের। যদিও নদীর একুল ভাঙ্গে অকূল গড়ে, কিন্তু ভাগীরথী নদীর ক্ষেত্রে ভাঙনের সূত্রপাত অন্য কারণে বলে ইঙ্গিত দিচ্ছেন তীরবর্তী এলাকার বসবাসকারী মানুষ। তাদের দাবি, নদীর ওপারে রয়েছে একটি ইটভাটা, যার অধিকাংশ ভাগীরথী নদীর বক্ষে চলে আসে। ভাটার চতুর্দিকে ইট ফেলে ক্রমশ বড় করা হচ্ছে জায়গা, আর ভাগীরথীর জলস্রোত উল্টো দিকে বয়ে আসায় ভাঙনের মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের। তবে প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েও কোন হস্তক্ষেপও করেনি প্রশাসন। জানিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ককেও। এখন বাসিন্দাদের একটাই দাবি, ভাঙন প্রতিরোধে যা যা ব্যবস্থা নেওয়া উচিত তা দ্রুত ব্যবস্থা নিক প্রশাসন। না হলে চাষের জমি থেকে শুরু করে ভিটেমাটি চলে যাবে নদীবক্ষে। এলাকার বাসিন্দা দীপক বিশ্বাস ও মির মোহাম্মদ আলি বলেন, প্রত্যেক বছর গঙ্গার ভাঙনে জমি চলে যায়। বর্ষা এলে আতঙ্ক তৈরি হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct