আপনজন ডেস্ক: শুধু ঝাঁজেই নয়, মুখের স্বাদ বাড়াতে খাবারের স্বাদ রাঙাতে, ত্বকের যত্নে, এমনকি গাঁটের ব্যথা কমাতে সরিষার তেলের তুলনা নেই। এই তেলের রয়েছে অনেক উপকারী দিক। এই সরিষার তেল সাধারণত ভালো চর্বি হিসাবেই পরিচিত। যার মধ্যে ৫৯ শতাংশ মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, ২১ শতাংশ পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট ও ১১ শতাংশ স্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে এবং এর হাই স্মোক পয়েন্ট 480°F, যার ফলে এটি উচ্চতাপেও রান্না করার জন্য কার্যকরী একটি তেল। সরিষার তেল মস্তিষ্কের জন্য ভীষণ উপকারী। বিশেষ করে অবসাদ কাটাতে, স্মৃতিশক্তি আর মনঃসংযোগ বাড়াতে এ তেল যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সরিষা তেল ক্যানসার প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে। এ তেলে বিদ্যমান মনোআনস্যাচুরেটেড এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। তবে উন্নত বিশ্বের কিছু দেশ সরিষার তেলেও ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কারণ, এ তেলে প্রায় ২০-৪০ শতাংশ এরিউসিক অ্যাসিড আছে যা শরীরে ট্রাইগ্লিসারাইড তৈরি করে। যার কারণে হৃদপিণ্ডে মারাত্মক ক্ষতি হয়। এছাড়াও ফুসফুসের ক্যানসার ও এনিমিয়ার জন্যও এটি দায়ী। গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘকাল ধরে শরীরে এরিউসিক অ্যাসিড প্রবেশ করলে সেটি হৃদযন্ত্রের ক্ষতি করে এক ধরনের রোগের সৃষ্টি করে, যার নাম মায়োকার্ডিয়াল লিপিডোসিস। যদিও সরাসরি মানব শরীরে এ নিয়ে কোনো ধরনের গবেষণা এখনো পাওয়া যায়নি। তবে কারো শরীরে অল্প মাত্রায় এরিউসিক অ্যাসিড প্রবেশ করলে সেটা নিরাপদ। কিন্তু এর মাত্রা অধিক হলেই সেটি বিপজ্জনক হতে পারে মানব শরীরে। সার্বিক বিবেচনায় এ তেলের উপকারী দিক থেকে নিজেকে পুরোপুরি বঞ্চিত না করে, অল্প পরিমাণে অন্যান্য তেলের পাশাপাশি প্রয়োজনে সরিষার তেল গ্রহণ করতে পারেন। তবে অতিরিক্ত মাত্রায় গ্রহণ থেকে বিরত থাকবেন বিশেষ করে ছোট শিশু ও গর্ভবতী মায়েরা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct