মনিরুজ্জামান, দেগঙ্গা, আপনজন: বছর পেরোলেই যেকোনও সময় পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেটাকেই পাখির চোখ করে বারাসাত সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী তথা সাংসদ ডা. কাকলি ঘোষদস্তিদারের নির্দেশে দেগঙ্গা বিধানসভার কলসুর আঞ্চলিক তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে রবিবার এক কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয় স্হানীয় কলসুর হাইস্কুলের মাঠে। বুথ ভিত্তিক এই কর্মীসভায় বিভিন্ন বুথের প্রচুর কর্মী উপস্থিত হয়েছিলেন।এই কর্মীসভায় দেগঙ্গার বিধায়ক রহিমা মন্ডল বলেন,আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী কে হবে সেটা দল ঠিক করবে। যে দাদাই বলুক না পঞ্চায়েতের টিকিট আমি দিচ্ছি, সেই কথায় কান দেবেন না। আমি বিধায়ক, আমিও কাউকে টিকিট দিতে পারব না।দলীয় নির্দেশ মেনেই পঞ্চায়েতে টিকিট দেওয়া হবে। তিনি বলেন, আজকে বিজেপি যেভাবে ভারতবর্ষে একটা বিভাজনের রাজনীতিতে নেমেছে তার থেকে আপনারা সাবধানে থাকবেন। আমরা এই বিভাজনের রাজনীতিকে প্রশ্রয় দিই না,দেব না।বারাসাত সাংগঠনিক জেলা কিষাণ তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মাফুজার রহমান বলেন, বাংলার মানবিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কল্যাণে আজকে আমরা এমন অনেক সুযোগ সুবিধা পাচ্ছি যেটা আমরা হয়তো কোনওদিন কল্পনাও করিনি। বাংলার মানুষের কথা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি। দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মফিদুল হক সাহাজি বলেন, বাংলার জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেটা বলেন সেটাকে বাস্তবে কার্যকরী করেন। দেগঙ্গা ব্লকে ৭২ হাজার মহিলাকে লক্ষ্মীর ভান্ডার, ৫২ হাজার মানুষকে কৃষকবন্ধু, ৯ হাজারের বেশি মহিলাকে বিধবা ভাতা, ২৩৭১ জন প্রতিবন্ধী মানুষকে মানবিক ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই কর্মীসভায় উপস্থিত ছিলেন বারাসাত সাংগঠনিক জেলা কিষাণ তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মাফুজার রহমান,পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ অসিত মন্ডল, কলসুর আঞ্চলিক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি গফফার আলি মোল্লা, কোটরা কদম্বগাছি আঞ্চলিক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি নিজামুল করীম, বর্ষীয়ান তৃণমূল কংগ্রেস নেতা দ্যুতিরঞ্জন গাইন,আব্দুস সামাদ মন্ডল, রাজু মন্ডল, কুদ্দুস মন্ডল, নুহু হক, ইছানুর মন্ডল সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct