আপনজন ডেস্ক: ঝাড়খন্ডের সরাইকেলা-খারসওয়ান জেলার একটি স্থানীয় আদালত ২০১৯ সালের তবরেজ আনসারি পিটিয়ে হত্যা মামলায় মঙ্গলবার ১০ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। সরকারি কৌঁসুলি অশোক কুমার রাই জানিয়েছেন, আগামী ৫ জুলাই শাস্তি ঘোষণা করা হবে। অভিযুক্তদের মধ্যে কুশল মাহালি বিচার চলাকালীন মারা গিয়েছিলেন এবং প্রমাণের অভাবে দুজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছিল।অতিরিক্ত জেলা জজ-১ অমিত শেখরের আদালত দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরেই ভীম সিং মুন্ডা, কমল মাহাতো, মদন নায়েক, অতুল মাহালি, সুনামো প্রধান, বিক্রম মণ্ডল, চামু নায়েক, প্রেম চাঁদ মহালি, মহেশ মাহালিকে হেফাজতে নেয়। প্রধান অভিযুক্ত প্রকাশ মণ্ডল ওরফে পাপ্পু মণ্ডল ইতিমধ্যেই বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছে।উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১৭ জুন পুনেতে শ্রমিক ও ওয়েল্ডার হিসেবে কাজ করা ২৪ বছর বয়সী আনসারি ঈদ উদযাপন করতে বাড়ি আসছিলেন। সে সময় সরাইকেলা থানার ধাতকিডিহ গ্রামে মোটরসাইকেল চুরির সন্দেহে আনসারিকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে জোর করে ‘জয় শ্রী রাম’ ও ‘জয় বজরং বালি’ বলতে বাধ্য করা হয়। চুরির উদ্দেশ্যে একটি বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেছিল বলে অভিযোগ।পরের দিন সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গ্রামবাসীদের অভিযোগের ভিত্তিতে আনসারিকে জেলে নিয়ে যায়। কারাগারে আনসারির অবস্থার অবনতি হলে তাকে সরাইকেলা-খারসাওয়ান সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে জামশেদপুরের টাটা মেইন হাসপাতালে রেফার করা হয়, যেখানে ২২ জুন তিনি মারা যান।এ ব্যাপারে আনসারীর আইনজীবী আলতাফ হুসেন বলেন, এই মামলায় অভিযুক্ত ১৩ জনের মধ্যে মঙ্গলবার অতিরিক্ত দায়রা বিচারক অমিত শেখের আদালত ১০ জনকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করেছে এবং অন্য দুজন - সুমন্ত মাহাতো এবং সত্যনারায়ণ নায়েককে বেকসুর খালাস দিয়েছে। আমি আত্মবিশ্বাসী যে দোষী সাব্যস্ত সমস্ত ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct