আপনজন ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের অনেক জায়গায় ভয়াবহ ‘ইয়াস’ কেড়ে নিয়েছে কারোর ঘরবাড়ি, ফসল, খাদ্য, আসবাবপত্র, ইত্যাদি। ঘর ছাড়া হয়েছে বহু মানুষ, এখন তাদের আশ্রয়স্থল বলতে ত্রাণ শিবির। এই করোনা কালের মধ্যেও বন্যা কবলিত হয়েছে ২৪ পরগনা, হুগলি এবং মেদিনীপুরের অনেক জায়গায়। “জাগরণ” সর্বত্রভাবে প্রশাসনিক দিক দিয়ে হোক কিংবা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পৌঁছনোর যৎসামান্য চেষ্টা করে গেছে। “জাগরণে”র অন্যতম সদস্য রায়হান সিদ্দিক জানান, যেমন রামনগর, নামখানা, মন্দারমনি, গোসাবা ইত্যাদি জায়গায় বিডিও সাহেবের কাছে নানান সমস্যা নিয়ে জানাই আমরা। প্রশাসন পুরোপুরি আশ্বাস দেন এবং অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নিজেরাই দায়িত্ব নিয়েই সমাধান করেছেন কোথাও ৩০০ জনের খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা আবার কোথাও ২৫০জনের ব্যবস্থা।
আবার অনুরূপ ভাবে রামনগর এবং গোসাবা বিডিওকে জানানোর পর এনডিআরএফ যায় উদ্ধারকাজে। অসহায় মানুষকে প্রশাসনিক সাহায্যের পাশাপাশি খাদ্য দ্রব্যের ব্যবস্থা করেছে। খিচুড়ি থেকে শুরু করে, বিস্কুট, মুড়ি, রুটি, কলা যা এই মুহুর্তে নিত্যপ্রয়োজনীয় আবার কোথাও করোনা রুগীর বাড়িতে খাবার পৌঁছনোতেও বসে নেই এরা। মাস্ক, সানিটাইজার, কোথাও অক্সিজেনের প্রয়োজন আবার কোথাও বেডের প্রয়োজন এবং কোথাও ডেড বডি পরিবারের হাতে দিয়ে সব রকম সাহায্যের জন্য তৈরি।
এছাড়াও বর্তমানে রক্ত সংকটের কথা মাথায় রেখে রক্ত জোগাড়েও পিছিয়ে নেই কোনো অংশে। করোনার জন্য যখন দেশ তথা রাজ্যের পরিস্থিতি ভয়াবহ। হসপিটালে বেড, ব্লাড, এম্বুলেন্স পাচ্ছে না সেই অসহায় মানুষের সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছে “জাগরণে”র তরুণরা। ছাত্র জীবন শুধু পড়াশোনাই শেষ কথা নয়, পড়াশোনার মধ্যেও সমাজসেবায় ব্রত হওয়া এক মহান কাজ।
ছাত্র জীবনের বাইরে গিয়েও সমাজসেবায় এভাবে নিজেদের মেলে ধরেছেন রায়হান সিদ্দিক, মাহাবুব রহমান, সুজিত পান্ডে, জিয়ারুল, শামীম, রোহান, ইমরোজ, মাহাবুব খানরা। তারা জানায় ‘একজন মানুষের প্রধান ধর্মই হলো মানুষের পাশে থাকা।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct