আপনজন ডেস্ক: আবার পরমাণু বিপর্যয়ের আশঙ্কা। আতঙ্কে কাঁপছে গোটা ইউরোপ। জাতিসংঘও বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। শত্রুতা ভুলে এই ইস্যুতে রাশিয়া ও ইউক্রেনকে একসঙ্গে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। দু’দেশের মধ্যে শুরু হয় যুদ্ধ। মার্চের শুরুতেই দক্ষিণ পূর্ব ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রটি দখল করে রুশ সেনা। সেই সময় থেকেই ইউরোপ জুড়ে শুরু হয় পরমাণু বিপর্যয়ের আশঙ্কা। যা নিয়ে নতুন করে সতর্ক করল জাতিসংঘ। যদিও যুদ্ধরত দুই দেশের তরফে এই নিয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
সম্প্রতি এই ইস্যুতে মুখ খোলেন জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি বা আইএইএ-র ডিরেক্টর জেনারেল। “সম্পর্ণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে ইউরোপের সর্ববৃহৎ পরমাণুবিদ্যুৎ কেন্দ্র। বেপরোয়াভাবে সুরক্ষা সংক্রান্ত সব কিছু ভাঙা হচ্ছে। মারাত্মক বিপদের মধ্যে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে ইউরোপকে। চেরনোবিল বা তার থেকেও বড় কোনও বিপর্যয়ের দিকে এগোচ্ছে জাপোরিঝিয়া। এটা চলতে দেয়া যায় না।” মঙ্গলবার বলেন আইএইএ-র ডিরেক্টর জেনারেল রাফেল গ্রসি। পরিস্থিতি সামলাতে দ্রুত বিশেষজ্ঞদের ডাকা উচিত বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। রুশ আক্রমণে ইউক্রেনের এই পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি চুল্লিতে আগুন ধরে যায়। তবে এর জন্য পরমাণু বিপর্যয়ের আশঙ্কা নেই বলে জানিয়ে দেয় মস্কো। যদিও তা মানতে নারাজ আইএইএ। গ্রসির কথায়, “জাপোরিঝিয়াকে সম্পূর্ণভাবে কব্জা করতে পরপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এর জেরে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের বেশ কয়েকটা চুল্লির ভাল রকমের ক্ষতি হয়েছে। পরমাণু দুর্ঘটনা এড়াতে এখনই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিদর্শন করা প্রয়োজন।” সেটা না হলে বিপর্যয় এড়ানো যাবে না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। ১৯৮৬-তে ২৬ এপ্রিল চেরনোবিল পরমাণু বিদুৎকেন্দ্রের চুল্লি ফেটে বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct