আপনজন ডেস্ক: ২০১৬ সালে নরেন্দ্র মোদি সরকার হঠাৎ করেই নোটবন্দি ঘোষণা করেন। তা নিয়ে তামাম দেশের মানুষ আতান্তরে পড়েন। নোটবন্দির জেরে বহু মানুষ ঘরে ফিরতে গিয়ে রাস্তায় প্রাণ দিয়েছেন। পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়ে রেললাইনে শুয়ে থাকায় অঘোরে প্রান গিয়েছে রেলে চাকায়। সেই হঠাৎ নোটবন্দি নিয়ে বিরোধী দলগুলি সহ দেশের সাধারণ মানুষও প্রশ্ন তোলেন। তাদের বক্তব্য ছিল, কোনও আগাম নোটিশ না দিয়ে এভাবে নোটবন্দি করায় সরকার কি উচিত কাজ করেছে। এবার সেই নোটবন্দি আইনসিদ্ধ ছিল কিনা তা িনয়ে মামলা হল সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলায় সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছে, ২০১৬ সালের নোটবন্দির সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা করবে। দেখবে যে এটা স্রেফ সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত ছিল, নাকি এর মধ্যে অন্য কিছুও রয়েছে। বিচারপতি এসএ নাজিরের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এই প্রসঙ্গে জানিয়েছে যে যখন কোনও সাংবিধানিক বেঞ্চের সামনে সমস্যা দেখা দেয়, তখন তার সমাধান করা বেঞ্চের কর্তব্য। যদিও আদালত তার ‘লক্ষ্মণ রেখা’ সম্পর্কে অবহিত রয়েছে। অবশ্য
অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরামানি আদালতে জানিয়েছেন, নোটবন্দি বিষয়টি ছিল একটা সরকারি নীতিগত সিদ্ধান্ত। তাই এ নিয়ে আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে না। সেই প্রেক্ষিতেই শীর্ষ আদালত তার মতামত জানিয়েছে। ১৯৭৮ সালের মুদ্রা আইন অনুযায়ী, সরকার ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, আদালত গোটা প্রক্রিয়াটি পর্যালোচনা করবে। নোটবন্দির কোনও শাস্ত্রগত ভিত্তি আছে, কি নেই, সেটা আমাদের জানতে হবে। মামলার মূল বিষয় হল সরকারের নীতি ও তার প্রাজ্ঞতা। আমরা জানি যে লক্ষ্মণরেখাটা কোথায়? তবে, নোটবন্দির সিদ্ধান্ত যেভাবে জারি হয়েছিল, তা পর্যালোচনা করা জরুরি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct