আপনজন ডেস্ক: বারাণসী জেলা আদালতে জ্ঞানবাপি মসজিদের বাইরের দেওয়ালে থাকা হিন্দু দেবদেবীদের পুজো করার অনুমতি চেয়ে পাঁচজন মহিলা আর্জি জানিয়েছিলেন। জেলা জজ এ কে বিশ্বেশ এই মামলায় জানিয়ে দেন, কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের কাছে অবস্থিত মসজিদ কমপ্লেক্সের বাইরের দেওয়ালে দেব-দেবীদের উপাসনা করার অধিকার চেয়ে করা পিটিশনের শুনানি অব্যাহত থাকবে। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর এ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত। জ্ঞানবাপি মসজিদ পক্ষের প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবী মেরাজউদ্দিন সিদ্দিকি বলেছেন, তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে এলাহাবাদ উচ্চ আদালতে যাবেন।আদালত কক্ষে দুই পক্ষের আইনজীবী ও বাদীসহ ৩২ জনের উপস্থিতিতে জেলা জজ ১০ মিনিটের মধ্যে ২৬ পৃষ্ঠার একটি আদেশ দেন বলে আদালত কক্ষে উপস্থিত এক আইনজীবী জানান। আদেশে বিচারক বলেন, ‘আলোচনা ও বিশ্লেষণের পরিপ্রেক্ষিতে আমি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে, বাদীর মামলা ১৯৯১ সালের উপাসনালয় (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১, ওয়াকফ আইন, ১৯৯৫ এবং ইউপি শ্রী কাশী বিশ্বনাথ মন্দির আইন, ১৯৮৩ এবং ৪ নং (আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া) কর্তৃক দায়ের করা আবেদন ৩৫ সি এবং ৪ নং বিবাদী (আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া) দ্বারা দায়ের করা আবেদনটি খারিজ হওয়ার যোগ্য। পাঁচ জন মহিলা হিন্দু দেবদেবীদের দৈনিক উপাসনার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিলেন, যাদের মূর্তিগুলি জ্ঞানবাপি মসজিদের বাইরের দেওয়ালে অবস্থিত বলে দাবি করা হয়। আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি বলেছে, জ্ঞানবাপি মসজিদটি একটি ওয়াকফ সম্পত্তি এবং এই আবেদনের শুনানির যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। জেলা জজ ২৪ আগস্ট সাম্প্রদায়িকভাবে সংবেদনশীল এই বিষয়ে ১২ ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আদেশটি সংরক্ষণ করেছিলেন। হিন্দু পক্ষের আইনজীবী বিষ্ণু জৈন সাংবাদিকদের বলেন, আদালত মুসলিম পক্ষের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘উপাসনার স্থান আইন নিয়ে তাদের (মুসলিম পক্ষ) আবেদন আদালত প্রত্যাখ্যান করেছে। গত ২০ মে সুপ্রিম কোর্ট জ্ঞানবাপি মসজিদ নিয়ে হিন্দু ভক্তদের দায়ের করা দেওয়ানি মামলা দেওয়ানি বিচারক (সিনিয়র ডিভিশন) থেকে বারাণসীর জেলা জজের কাছে হস্তান্তর করে বলেছিল, অভিজ্ঞ একজন সিনিয়র বিচারক যেন মামলাটি পরিচালনা করেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct