সম্প্রীতি মোল্লা, বর্ধমান, আপনজন: ইচ্ছা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একবার দেখা করবেন। সোমবার তাই ঘটলো মুখ্যমন্ত্রী মমতার ইচ্ছায়। শহর বর্ধমানে সভা করার আগে দেখা করলেন রেণু খাতুনের সঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রীকে পাশে পেয়ে বাকরুদ্ধ এই তরুণী।এদিন দু-তিন মিনিট কথা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জিজ্ঞাসা করলেন, কেমন আছো? খোঁজখবর নিয়েছেন রেণুর বর্তমান অবস্থা নিয়ে।’ তারপরই মুখ্যমন্ত্রীকে প্রণাম করেন রেণু। সঙ্গে সঙ্গে রেণুকে জড়িয়ে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, বড় হও। এগিয়ে চল। তোমার পাশে আছি। মুখ্যমন্ত্রীর এহেন আশ্বাস যে ‘কথার কথা নয়’ সেটা আগেই বুঝেছেন কেতুগ্রামের রেণু। তা না হলে আরও কঠিন হত লড়াইটা। সরকারি হাসপাতালে নার্সের চাকরি পেয়েছিলেন তরুণী। স্বামী চাকরিতে যোগ দিতে নিষেধ করেন রেণুকে। অভিযোগ, কথা না শোনায় ঘুমন্ত অবস্থায় তাঁর হাত কেটে নেন তার স্বামী কয়েকজন কে সাথে নিয়ে। ভয়ঙ্কর এই ঘটনার কথা জানতে পেরে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন নার্সিং স্টাফ গ্রেড ২ পদেই অন্য কাজের জন্য নিয়োগ করা হবে তরুণীকে। সেইসময় মুখ্যমন্ত্রী কে মায়ের সাথে তুলনা করেছিলেন রেণু। নির্দিষ্ট সময়ের এক সপ্তাহ আগেই স্বাস্থ্য দফতরের তরফে দুর্গাপুরে গিয়ে তাঁর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়। গত সপ্তাহে কাজে যোগও দেন রেণু খাতুন। ২৭ জুন পূর্ববর্ধমানে সভা আছে মুখ্যমন্ত্রীর, জানতেন রেণু খাতুন। সভা শুরুর আগে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী। কেতুগামের নির্যাতিতা রেণু খাতুন জানান, মুখ্যমন্ত্রীর আশীর্বাদ আনতে গিয়েছিলেন। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে বুকে জড়িয়ে ধরেন। তাঁর হাতের পরবর্তী চিকিৎসার ভারও রাজ্য সরকার গ্রহণ করেছে বলে জানান রেণু খাতুন। ইতিমধ্যেই বিকল্প চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে রেণু খাতুনকে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct