আপনজন ডেস্ক: শীত কালকে বলা হয় বিয়ের মৌসুম। শীতকাল এলেই বিয়ের ধুম পড়ে যায়। যেন শীত মানেই বিয়ের মৌসুম। শীতে বিয়ের আয়োজন করা হলে বাড়তি কিছু সুবিধা পান আয়োজকরা। তবে শীতকালই কেন বিয়ের উপযুক্ত সময় হিসেবে বিবেচিত? আসলে এর পিছনে রয়েছে একাধিক কারণ। প্রথমত, নভেম্বরের মধ্যে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাসহ ওই বছরের শিক্ষা কার্যক্রম শেষ হয়। অতএব পরিবারের ছোটদের স্কুল-কলেজ ডিসেম্বরে বন্ধ থাকে। এ সময় তাদের সঙ্গে ছুটি মিলিয়ে বড়রাও সহজে বেড়াতে যেতে পারে। এ সুযোগেই সব আত্মীয়-পরিজন একত্রিত হতে পারেন। বছরের অন্যান্য সময় সবাইকে একত্রে পাওয়া ততটা সহজ নয়। তাই বিয়ের জন্য বেশিরভাগ মানুষ শীতকালই বেছে নেন। দাওয়াত, খাওয়া-দাওয়া, প্যান্ডেলসহ অনেক কাজ করতে হয় বিয়েতে। এই কাজগুলো সবাই মিলে হাত লাগিয়ে সারতে হয়। গরমের দিনে একটু পরিশ্রম করলেই হাঁপিয়ে উঠতে হয়। কিন্তু শীতকালে বিয়ে হলে সেই ভয় একদমই নেই। বরং কাজ করলে শীতের অনুভূতিটা কম হয়। বিয়েতে হাজারটা কাজ করার লোকের অভাব হয় না। গরমের সময়ে খেতে হয় রয়ে-সয়ে। খাবারে একটু এদিক-সেদিক হলেই পেটের ভেতর গুড়গুড় শুরু হয়ে যায়। কিন্তু শীতকালে সেই চিন্তা নেই। এমনিতেই নানা পিঠাপুলি পেট ভরে খাওয়া হয়, পাশাপাশি দাওয়াতেও খাওয়া যায় কবজি ডুবিয়ে। আর বিয়ে মানেই বিশেষ খানাপিনা। তাই বিয়ের জন্য শীতকালই উপযুক্ত সময়। বিয়েতে ফুল ছাড়া ডেকোরেশন হয় না। পারফেক্ট ডেকোরেশনের জন্য ফুল চাই। শীতকালে সব ফুলই সহজলভ্য। হাত বাড়ালেই ফুল আর ফুল। ফুলের সহজলভ্যতা বিয়ের উৎসবকে আরও বেশি জমকালো আর অভিজাত করে তোলে। ডালিম, রজনীগন্ধা, অর্কিড, গাঁদা, গোলাপ, জুঁই সব ধরনের ফুল পাওয়া যায় প্রায় অর্ধেক দামে। নতুন বিবাহিত দম্পতির বিবাহের পরে একসঙ্গে ছুটি কাটানোর অর্থাৎ হানিমুনের জন্য সবথেকে ভালো সময় এটি। শীতের সময়টা ঘোরাঘুরির জন্য উপযুক্ত সময়। তাই এ সময় বিয়ে এবং এর পরে হানিমুনে ঘোরাঘুরিটা জমে বেশ। পরস্পরের পাশাপাশি থেকে উষ্ণতাও ভাগাভাগি করা যায়, সেই সুযোগে সঙ্গীকে চিনে নেওয়া যায়, জেনে নেওয়া যায়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct