আপনজন ডেস্ক: আপনি আগের মতই সবকিছু করছেন তবুও খেয়াল করে দেখবেন কিছুটা হলেও আপনার শরীরের ওজন বেড়েছে। এ সমস্যা শুধু আপনার নয়। শীতে বেশিরভাগ মানুষের শরীরের ওজন বেড়ে যায়। শীতে ঠান্ডা, কাশি হয় না সেই সাথে বাড়ে ওজন। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে শীতে বেশিরভাগ মানুষের ওজন তিন থেকে পাঁচ কেজি ওজন বৃদ্ধি পায়। বাড়তি ওজন কমাতে কি কারণে ওজন বৃদ্ধি পায় সে সম্পর্কে জানতে হবে।
প্রথমত, শীতের শুরু হওয়ার সাথে সাথে আমরা বেশিরভাগ সময় বাড়িতে ব্যয় করি। লেপ বা কম্বলের তলায় বই পড়েই হয়ত কাটিয়ে দেয়। অনেকে ঠান্ডার কারণে হাটা, জগিং ছেড়ে দেন। এতে করে খাবার খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে যে ক্যালোরি যোগ হয় বা বার্ণ হয় না। ফলে তা ফ্যাট আকারে শরীরে জমা হয়। সবচেয়ে ভালো নয় আপনি একজন ওয়ার্কআউট পার্টনার খুঁজে বের করুন। এতে হাটা বা জগিং এর প্রতি আগ্রহ জমবে।
দ্বিতীয়ত, সূর্যের আলোর অভাবে বেশিরভাগ মানুষ সিজনাল অ্যাফেক্টিভ ডিসঅর্ডারে ভোগে। এর ফলে মানুষ অনেক সময় বেশি খেয়ে থাকে বা অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে থাকে যা অস্বাস্থ্যকর জীবন পরিচালিত করে। এতে করে সময়ের সাথে সাথে ওজন বাড়ে। এই সমস্যাটি কাটিয়ে উঠতে, যখনই সম্ভব সূর্যের আলোতে কিছুটা সময় ব্যয় করার চেষ্টা করুন।
তূতীয়ত, শীতকালে আমরা বেশিরভাগ সময় ভারী খাবার খেতে পচ্ছন্দ করি। উষ্ণ খাবার শরীরের তাপমাত্রা বাড়াতে পারে এবং সেই সাথে আমাদের মেজাজকেও ভালো রাখে। তবে অতিরিক্ত কার্ব এবং চর্বিযুক্ত খাবারে বিপদ রয়েছে। এজন্য ওজন বৃদ্ধি এড়াতে স্বাস্থ্যকর খাবার পচ্ছন্দ করুন ক্রিমি স্যুপের পরিবর্তে ক্লিয়ার স্যুপ খান।
চতুর্থ, শীতকালে হাইড্রেট থাকাই অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। এই সময়টা শরীর সুস্থ রাখতে দিনে ২ থেকে ৩ লিটার জল পান করুন। কারণ জলের অভাবে ডিহাইড্রেশন দেখা দেয় আর ডিহাইড্রেশনের ফলে শরীর দূর্বল লাগে ও ক্ষুধা বাড়ে। ডায়াবেটিস এবং থাইরয়েডে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সত্যিকার অর্থে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারেন। শীত আসার সাথে সাথে হরমোনগুলো সাধারণত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। আপনার হরমোন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে তা নিশ্চিত করার জন্য নিয়মিত চেক-আপ করান। আপনার ডাক্তার প্রয়োজনে আপনার ওষুধ পরিবর্তন করতে পারেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct