আপনজন ডেস্ক: আইপিএলে এর আগে কখনোই ২০০ বা তার বেশি রান করে হারেনি দিল্লি ক্যাপিটলাস। কিন্তু কখনো ঘটেনি মানে যে কখনো ঘটবে না, তা তো নয়। যেমন আজ ২০৩ রান করেও শেষ পর্যন্ত পারল না দিল্লি।
জস বাটলারের অপরাজিত ৫৪ বলে ৯৭ রানে আইপিএলে সপ্তম ম্যাচে পঞ্চম জয়টি আদায় করে নিয়েছে গুজরাট টাইটানস। অন্য দিকে দিল্লির এটি দ্বিতীয় হার। এই হারে শীর্ষে স্থান থেকে দুইয়ে নামল দিল্লি, আর শীর্ষে উঠল গুজরাট।
জমে ওঠা ম্যাচে শেষ ওভারে দিল্লির প্রয়োজন ছিল ১০ রান। আর সেঞ্চুরির জন্য বাটলারের প্রয়োজন ছিল ৩ রান। কিন্তু স্ট্রাইকে থাকা রাহুল তেওয়াতিয়া সেঞ্চুরি করার সুযোগই দেননি বাটলারকে। প্রথম বলে ছয় ও দ্বিতীয় বলে চার মেরে নিশ্চিত করে দলের জয়।
আহমেদাবাদে রান তাড়া করতে নেমে শুরুতে শুবমান গিলকে হারালেও ভড়কে যায়নি গুজরাট। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সাই সুদর্শন এবং বাটলার দলকে নিয়ে যান ৭৪ রানে। ২১ বলে ৩৬ করা সুদর্শনকে ফেরান কুলদীপ যাদব। ম্যাচে দিল্লির বোলারদের সাফল্য ছিল এটুকুই।
দুর্দান্ত ব্যাট করতে থাকা জস বাটলার দলকে এগিয়ে নেন দারুণভাবে। তাঁকে ভালোভাবে সঙ্গ দিয়ে গুজরাটের কাজটা আরও সহজ করে দেন শেরফান রাদারফোর্ড। দলকে জয়ের কাছাকাছি রেখে ফিরে যান ৩৪ বলে ৪৩ রান করা রাদারফোর্ড। তবে ১১ চার ও ৪ ছক্কায় ৯৭ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জয় এনে দিয়ে মাঠ ছাড়েন বাটলার।
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে আগ্রাসী শুরু করে দিল্লি। দিল্লির ইনিংসে কারও বড় রান না থাকলেও ছোট ছোট বেশ কিছু কার্যকর ইনিংস ছিল। অভিষেক পোরেল ৯ বলে ১৮ ও করুন নায়ার ১৮ বলে ৩১ করে দারুণ শুরু এনে দেন দিল্লিকে।
পরে বড় সংগ্রহে দলটিকে সহায়তা করেন লোকেশ রাহুল, অক্ষর প্যাটেল ও ত্রিস্তান স্টাবস। লোকেশ ১৪ বলে ২৮, অক্ষর প্যাটেল ৩২ বলে ৩৯ এবং স্টাবস করেন ২১ বলে ৩১। আর শেষ দিকে ঝোড়ো গতিতে আশুতোষ শর্মা করেন ১৯ বলে ৩৭ রান।
ছোট ছোট এই ইনিংসগুলোই দিল্লিকে নিয়ে যায় ২০৩ রানে। আইপিএলে এই প্রথম দলের কেউ ৪০ বা তার বেশি রান না করেও ২০০ রান করার কীর্তি গড়ল কোনো দল। কিন্তু এই কীর্তি শেষ পর্যন্ত ম্লান হয়েছে হতাশাজনক এক হারে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct