এহসানুল হক,বসিরহাট,আপনজন: সুন্দরবন, প্রশস্ত বনভূমি যা বিশ্বের প্রাকৃতিক বিস্ময়াবলীর অন্যতম। বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী নোনা পরিবেশের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন হিসেবে সুন্দরবন বিশ্বের সর্ববৃহৎ অখণ্ড বনভূমি।
শনিবার সুন্দরবন দিবস। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সুন্দরবন দিবস পালিত হয়ে আসছে। প্রত্যন্ত সুন্দরবন অঞ্চলের মানুষদের সুন্দরবন কিভাবে রক্ষা করা যায় তা নিয়ে বিশেষভাবে সচেতন করার উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে প্রত্যন্ত সুন্দরবন অঞ্চলের যোগেশগঞ্জ বাজারে পালিত হল সুন্দরবন দিবস। এদিন প্রত্যন্ত সুন্দরবন অঞ্চলের মানুষদের সঙ্গে নিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে এই অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করা হয়। সুন্দরবনের মানুষেরা যে সমস্ত জিনিস দিয়ে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে ,সেই সমস্ত জিনিস নিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। সাথে সাথে পড়ুয়া থেকে শুরু করে পুলিশের সেভ ড্রাইভ সেভ লাইফ কর্মসূচি পালিত হয়।পাশাপাশি এই সুন্দরবন দিবস উপলক্ষে সুন্দরবন অঞ্চলে কি কি গাছ কিভাবে লাগালে কি কি উপকার পাওয়া যায় তা নিয়ে বিশেষ সচেতনতা মূলক স্টলের ব্যবস্থা করা হয়। বিভিন্ন ছাত্র ছাত্রী থেকে শুরু করে মানুষদের হাতে তুলে দেওয়া হল ম্যানগ্রোভ, গাছ। এদিন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ মহাশয়ের উপস্থিতিতে প্রদীপ জ্বালিয়ে শুভ সূচনা হয়।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ ছাড়া, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান সমীর কান্তি জানা, হিঙ্গলগঞ্জ বিধানসভার বিধায়ক দেবেশ মন্ডল, উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা পরিষদের বনভূমি কর্মাধ্যক্ষ এ কে এম ফরহাদ, উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা সভাধিপতি বীনা মন্ডল, মিনাখা বিধানসভার বিধায়িকা ঊষারানী মন্ডল এবং চেয়ারম্যান মৃত্যুঞ্জয় মন্ডল, হিঙ্গলগঞ্জ ব্লক সভাপতি শহীদুল ইসলাম, শিক্ষক নুরুল হক বৈদ্য, বিশ্বজিৎ সহ আরো অনেক। এরপর বৃক্ষ রোপন করে প্রত্যন্ত সুন্দরবন অঞ্চলের মানুষদের গাছ লাগানোর উপকারিতা ও কার্যকারিতা বোঝানো হয়। তারপর খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে সুন্দরবন দিবস এর শুভ সূচনা করেন ।
এদিন বনভূমি কর্মাধ্যক্ষ এ কে এম ফরহাদ বলেন,সুন্দরবন দেশের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্য। সেই অরণ্যকে বিশ্বের দরবারে ভারতবর্ষের অন্যতম পরিচয় বানাতেই দুদিন ধরে পালন করা হবে সুন্দরবন উৎসব,সুন্দরবনের পর্যটন শিল্পকে আরও উন্নত করার জন্য গড়ে তোলা হবে পর্যটক কেন্দ্র। এবং সে উদ্দেশ্যে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই বেশকিছু জায়গা চিহ্নিত করেছে। কয়েক মাসের মধ্যেই কাজ শুরু হবে।” আমরা সব সময় মানুষের জন্য কাজ করি সব সময় কিভাবে কাজ হচ্ছে আমরা এই সুন্দরবনের দিখে অবশ্যই লক্ষ্য রাখি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct