রঙ্গিলা খাতুন,কান্দি,আপনজন: বাবা মায়ের একটাই চিন্তা মেয়ে কবে ফিরবে! ইউক্রেনের গোলাবারুদে সবথেকে বিপাকে পড়েছেন সেদেশে পড়তে যাওয়া ভারতীয় পড়ুয়ারা।চিন্তিত কান্দির গোকর্ণ পরিবার। ডাক্তারি পড়তে গিয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে আটকে পড়েছে কান্দির গোকর্ণ গ্রামের ছাত্রী স্নেহা দাস। ভয়ঙ্কর দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন তার পরিবারের লোকেরা। কবে ফিরবে? কীভাবে ফিরবে? সেই আশায় তাকিয়ে রয়েছেন তার পরিবার। উল্লেখ্য মুর্শিদাবাদের কান্দি থানার অন্তর্গত গোকর্ণের পানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা স্নেহা দাস। পিতা সাধন দাস গৃহশিক্ষক, মা শম্পা দাস। গোকর্ণ এন জি গার্লস হাইস্কুলের মেধাবী ছাত্রী ২০১৩ সালে মাধ্যমিক এবং তারপর গোকর্ণ প্রসন্নময়ী হাইস্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগে উচ্চমাধ্যমিক পড়াশোনা করে ডাক্তারি পড়াশোনার জন্য ইউক্রেনের পলতভা স্টিট মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হোন। কভিডের জন্য অনলাইনে ক্লাস চললেও, গত মাস থেকে অফলাইনে ঠিকমতো পড়াশোনা হচ্ছিল। স্নেহা দাস সংবাদ মাধ্যমে জানান, গত বুধবার থেকে কলেজের ক্লাস বন্ধ হয়েছে। রুশবাহিনার দাপটে ঘর বন্দী। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে ৫০০ কিমি দূরে পলতভা এলাকায় রয়েছি। সেখানে রুশ বাহিনীর তান্ডব কম তবুও আতঙ্কে রয়েছি। এমন বিপদে পড়ব দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারিনি। আমি দ্রুত বাড়িতে ফিরতে চাই।
এই মেধাবী ছাত্রীর জন্য চিন্তায় পরিবারের পাশাপাশি শিক্ষক থেকে এলাকার বাসিন্দা। স্নেহার পিতা সাধন দাস বলেন, আমার দুই মেয়ে, বড়টা গত তিন বছর হলো ডাক্তারি পড়তে গিয়েছে। কখনো চিন্তা করিনি কিন্তু যুদ্ধের খবর শুনে রাতে ঘুম আসছে না! সংবাদ মাধ্যমের সাহায্যে সরকারের কাছে অনুরোধ করছি যাতে করে আমার মেয়েকে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেন। স্নেহার মা শম্পা দাস বলেন, যুদ্ধ হচ্ছে শুনেই মেয়ের জন্য খুব চিন্তা হচ্ছে! গতকাল রাত্রে মেয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে, খুব চিন্তায় আছে। তবে মেয়ের দুজন সিনিয়ার বান্ধবী আছে তারা ওকে খুব সাহায্য করছেন। সরকার যেন আমার মেয়েকে বাড়িতে ফেরার ব্যবস্থা করে দেন। প্রসঙ্গত বাংলার অনেক পড়ুয়া যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনে আটকে রয়েছে। ইতিমধ্যেই নবান্ন এবং ভারতের বিদেশ মন্ত্রক পড়ুয়াদের দেশে ফিরিয়ে আনতে তৎপর শুরু করেছেন। এ বিষয়ে স্নেহার কাকা প্রার্থ দাস বলেন, গতকাল নবান্নের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তারা আশ্বাস দিয়েছেন লিষ্ট এবং দূরত্ব অনুযায়ী খুব তাড়াতাড়ি ফিরিয়ে আনা হবে। কেবলমাত্র স্নেহা আতঙ্কিত তাই নয় তার পরিবারের সকলেই আতঙ্কিত, চিন্তিত। এমতাবস্থায় কতদিনের মধ্যে ফিরবে সেদিকেই তাকিয়ে পরিবার।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct