আপনজন ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার বলেছেন, অ্যাডিনো ভাইরাসের কারণে রাজ্যে এখন পর্যন্ত ছটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এই বিপদ মোকাবেলায় জনগণকে করোনা পরিস্থিতির সময়ের মতো পুনরায় মুখে মাস্ক পরা শুরু করার আহ্বান জানিয়েছেন। সোমবার রাজ্য বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী জানান, এখনও পর্যন্ত অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশনের (এআরআই) কারণে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং তাদের মধ্যে ১৩ জনের কোমর্বিডিটি ছিল ছয়জন শিশুর মৃত্যু অ্যাডিনো ভাইরাসের কারণে হয়েছিল। তাই জনগণকে আপাতত মাস্ক পরা শুরু করার আহ্বান জানান। তিনি যদিও বলেন, আতঙ্কিত হবেন না ও জ্বর হলে অবিলম্বে কোনও ডাক্তারের সাথে দেখা করুন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও দাবি করেছেন যে কোভিড সময়ের তুলনায় বাংলায় স্বাস্থ্য পরিষেবার অনেক উন্নতি হয়েছে।
রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তোলার জন্য বিরোধীদের সমালোচনা করে মমতা বলেন, বামফ্রন্টের শাসনামলে কোনও বিশেষ নবজাতক কেয়ার ইউনিট ছিল না, বর্তমানে ১৩৮টি হাসপাতালে ২,৪৮৬ টিরও বেশি এসএনসিইউ রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, ৫,০০০ শয্যা প্রস্তুত করেছি এবং ৬০০ জন চিকিৎসককে এই ধরনের ঘটনা মোকাবেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে, মূলত এআরআই-এর কারণে। দিন যত এগোচ্ছে রাজ্য ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি করছে অ্যাডিনোভাইরাস। তার পরিবারের একজন সদস্য ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলেও তিনি জানান। এই নিয়ে গত ২ মাসে রাজ্যে জ্বর-সর্দি-কাশি এবং শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে ৯৬টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। কলকাতার বিসি রায় হাসপাতালে গত ২ দিনে এই একই উপসর্গ থাকা ৪২টি শিশুর মুত্যু হয়েছে। শহর থেকে জেলা, ক্রমেই ভয়ঙ্কর চেহারা নিচ্ছে ভাইরাস। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বিধানসভায় জানিয়েছেন, তাঁর পরিবারের সদস্যও অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ভাইরাসের মোকাবিলায় চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে অযথা রেফার না করার অনুরোধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শুধুমাত্র রোগীর শারীরিক পরিস্থিতি সংকটজনক হলে তবেই রেফার করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct