নাজিম আক্তার,হরিশ্চন্দ্রপুর,আপনজন: অবিলম্বে রাজ্যজুড়ে সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে রবিবার হরিশচন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের করিয়ালি বাজারে পথসভা করে বিক্ষোভ দেখালেন এসআইও সংগঠনের সদস্যরা।এদিন হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে তিন ঘণ্টা ধরে চলে বিক্ষোভ।প্রতিবাদে সামিল হল এলাকার ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে জনসাধারণরা। তাদের আন্দোলনকে পুরোপুরি ভাবে সমর্থন জানিয়েছে শিক্ষকরাও।
মালদা জেলা এসআইও সংগঠনের সভাপতি আমেরুল ইসলাম জানান করোনাবিধি মেনে ৫০% ছাত্র ছাত্রী নিয়ে স্কুল,কলেজ খোলার দাবি জানান। দীর্ঘ দুই বছর ধরে স্কুল বন্ধ থাকার কারণে
দেশ জুড়ে বাড়ছে শিশু শ্রম। অভাবের তাড়নায় লেখাপড়ায় ইতি টেনে স্কুল-ছুট হচ্ছে প্রচুর সংখ্যক শিক্ষার্থী। রাষ্ট্রসঙ্ঘের রিপোর্ট বলছে বিশ্ব জুড়ে প্রায় ৬০ কোটি শিশুর শিক্ষাজীবন এই অতিমারীর জাঁতাকলে শেষ। একদিকে প্রবল দারিদ্রতা, তারওপর লকডাউনে কাজ হারিয়ে দুবেলা খেয়ে বেঁচে থাকাই কঠিন হয়ে পড়ছে দেশ তথা রাজ্যের সেই বড় অংশের শ্রমজীবী মানুষের। আর অন্যদিকে বাড়ছে অপুষ্টির হার। দিনের পর দিন মিডিডে মিলের পরিমাণ কমছে। মেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ের সংখ্যা বাড়ছে। ডিজিটাল পড়াশোনার সাথে পাল্লা দিতে না পেরে অকালে হারিয়ে যাচ্ছে হাজারো স্বপ্ন।ট্রাফিকিং ইন পার্সন ২০২১ এর রিপোর্ট বলছে ভারতে রমরমিয়ে চলছে শিশু পাচার, যা এই সময় কয়েকগুন বেড়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণে লকডাউনে বিঘ্নিত হচ্ছে শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য।পাশাপাশি দেশ তথা এই রাজ্য জুড়ে চূড়ান্ত বেকারত্ব বাড়ছে।
এই সমস্ত কিছুর প্রতিবাদে একপ্রকার বাধ্য হয়েই লাগাতার পথে নামতে হচ্ছে বলে দাবি এসআইও সংগঠনের। অবিলম্বে শিক্ষক, অভিভাবক, ছাত্রছাত্রী সহ শ্রমজীবী মানুষ ও গণসংগঠনগুলির এর বিরুদ্ধে পথে নামা উচিত।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct