আপনজন ডেস্ক: রক্তে প্লাটিলেট কমে যাওয়াকে থ্রোম্বোসাইটোপেনিয়া বলা হয়। রক্তরস ও রক্তকণিকা নিয়ে গঠিত তরল যোজক টিস্যুকে রক্ত বলে। লোহিত রক্তকণিকা, শ্বেত রক্তকণিকা, অনুচক্রিকা এই তিন ধরনের রক্তকণিকার মধ্যে যে উপাদান রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে সাহায্য করে তাকে প্লাটিলেট বা অনুচক্রিকা বলে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মানুষের দেহে প্লাটিলেটের পরিমাণ দেড় লাখ থেকে ৪ লাখ ৫০ হাজার পর্যন্ত থাকে। চিকিৎসকরা বলেন, প্লাটিলেটের পরিমাণ ১০ হাজারের নিচে নেমে গেলে অবশ্যই প্লাটিলেট গ্রহণ করতে হয়।
প্লাটিলেট কমে যাওয়ার লক্ষণ:
১) প্লাটিলেটের পরিমাণ কমে গেলে ত্বকের নিচে এক ধরনের রক্তক্ষরণ হয়ে থাকে।
২) ত্বকে ছোট ছোট লাল রঙের র্যাশ, দাঁতের গোড়া থেকে রক্তক্ষরণ, নাক ও গলা থেকে রক্তক্ষরণ।
৩) প্লাটিলেটের পরিমাণ যদি মাত্রাতিরিক্ত কমে যায় তাহলে দাঁতে গোড়া, মাড়িতে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। তবে এটি যে হঠাৎ কমে গিয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হয় বিষয়টি এমন নয়; এটি ঘটে ধীরে ধীরে। এমনকি প্লাটিলেটের পরিমাণ যদি ৫০ হাজারও থাকে সেটিকেও সাধারণ ধরা হয়।
৪) একজন রোগীর প্লাটিলেটের পরিমাণ যখন ২০ হাজারের নিচে নেমে যায় তখনই প্লাটিলেট গ্রহণের মনমানসিকতা ও ব্যবস্থা রাখতে হয়।
৫) রোগীর প্লাটিলেটের পরিমাণ যদি ৫ হাজারের নিচে নেমে যায় তখন ব্রেন, হার্ট, কিডনিতে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। যে কোনো ছোট অপারেশনের জন্য রোগীর প্লাটিলেটের পরিমাণ থাকতে হবে সর্বনিম্ন ৫০ হাজার এবং বড় ধরনের অপারেশনের জন্য প্লাটিলেটের পরিমাণ থাকতে হবে ১ লাখের বেশি।
৬) প্লাটিলেটের পরিমাণ বেড়ে গিয়েও দেখা দেয় হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকসহ রক্তজমাট বেঁধে যাওয়ার মতো বিপত্তি। যদিও এমন কিছু খুব একটা দেখা যায় না।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct