কুতুব উদ্দিন মোল্লা,ক্যানিং,আপনজন: দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং থানার অন্তর্গত নলিয়াখালি জি.এন. হরিনারায়ণী বিদ্যাপীঠে শুক্রবার ছিল মাধ্যমিকের ইতিহাস পরীক্ষা। এই স্কুলে সিট পড়েছিল ক্যানিং থানার অন্তর্গত ইটখোলা রাজনারায়ণ উচ্চমাধ্যমিক হাইস্কুলের ছাত্রী সুস্মিতা গায়েনের। কিন্তু পরীক্ষা চলাকালীন সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার অসুস্থ হওয়া দেখে নলিয়াখালি জি.এন. হরিনারায়ণী বিদ্যাপীঠ স্কুল কর্তৃপক্ষ সুস্মিতা গায়েনের পরিবারকে অসুস্থতার খবর দেয় ক্যানিং গোলাবাড়ি ৭ নম্বর গ্রামের বাড়িতে। এরপর অসুস্থ ছাত্রীকে তড়িঘড়ি চিকিৎসার জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে স্কুল কর্তৃপক্ষ। সুস্মিতা গায়েন নামে ছাত্রীর প্রাথমিক চিকিৎসার পর হাসপাতালের বেডেই পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করেন সেন্টার সুপারভাইজার ও মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে প্রায় ১০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে ওই ছাত্রীর প্রশ্নপত্র আনা হয় মহকুমা হাসপাতালে। সেখানেই পরীক্ষা দেয় সুস্মিতা। সঙ্কটময় মুহূর্তে ওই ছাত্রী পরীক্ষা দিতে পারায় সেন্টার সুপারভাইজার বিশ্বজিত দাস ও মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সুস্মিতা গায়েনের বাবা মিহির গায়েন। সেন্টার সুপারভাইজার বিশ্বজিত দাস জানিয়েছেন, অসুস্থ ছাত্রীর পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি তাকে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত ১৫ মিনিট সময় দেওয়া হয়। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় অসুস্থ হয়েও চিকিৎসক ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উদ্যোগে পরীক্ষা দিতে পারায় খুশি সুস্মিতা গায়েন। তবে সুস্মিতা অসুস্থতার মধ্যে পরীক্ষা দিতে পারায় কৃতজ্ঞতা জানায় চিকিৎসক থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকা সবাইকে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct