আপনজন ডেস্ক: বিহারে আসাদউদ্দিন ওয়াইসির অল ইন্ডিয়া মুসলিম মজলিশ-ই ইত্তেহাদুল মুসলেমিন বা মিম এবার অন্যান্য ৬টি দলের সঙ্গে জোট বেঁধে ভোটে লড়ছে। মুসলিম প্রধান দলগুলির সঙ্গে এই জোটে রযেছে চারটি সেক্যুলার দলও। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য উপেন্দ্র কুশওয়ারার রাষ্ট্রীয় লোক সমতা পার্টি, মায়াবতীর বহুজন সমাজপার্টি। বিজেপি জোট ও কংগ্রেস জোটের মাঝে এই নতুন জোটের নাম দেওয়া হয়েছে গ্র্যান্ড ডেমোক্রেটিক সেক্যুলার ফ্রন্ট বা জিডিএসএফ।
আগামী ২৮ অক্টোবর বিহার বিধানসভার ভোট। সেই ভোটে এবার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল বিজেপি জোট, কংগ্রেস জোট ও আসাদউদ্দিন ওয়াইসির জোটের প্রভাব কেমন থাকবে। এবারও লালু প্রসাদ যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দল কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে ভোটে লড়ছে। কিন্তু দুই জোটের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে জিডিএসএফ।
বৃহস্পতিবার উপেন্দ্র কুশওয়ারার সঙ্গে বসে সাংবাদিক সম্মেলন করেন আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। তিনি জানান, তাদের এই নতুন জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী উপেন্দ্র কুশওয়ারা। তাদের সঙ্গে যে দলগুলি রয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম আসাদউদ্দিন ওয়াইসির মিম, উপেন্দ্র কুশওয়ারার আরএলএসপি, দেবেন্দ্রপ্রসাদের যাদবের সমাজবাদী ডেমোক্রেটিক পার্টি, মায়াবতীর বহুজন সমাজপার্টি। ফলে মুসলিম ভোট ও দলিত ভোট টানার লক্ষ্যে এই জোট।
কিন্তু এছাড়াও পাপ্পু যাদবের জনঅধিকার পার্টির নেতৃত্বে আরও একটি জোট গঠিত হয়েছে যার নাম দেওয়া হয়েছে পিপলস ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স। এই দলেও বেশ কয়েকটি মুসলিম প্রধান দল রয়েছে। এতে যেমন রয়েছে এসডিপিআই, ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ তেমনি রয়েছে দলিত প্রধান পার্টি চন্দ্রশেখর আজাদের সমাজ পার্টিও।
এ ব্যাপারে এসডিপিআই দলের নেতা তসলিম রহমানি এক নিউজ পোর্টালকে বলেছেন, তাদের জোটে ১১টি পার্টি রয়েছে। আর এই জোট ২৪৩টি আসনে লড়বে।এসডিপিআই লড়বে ১৬টি আসনে। প্রার্থী ঘোষণা হবে ১২ অক্টোবর।
এভাবে মুসলিম প্রধান দলগুলি আলাদা আলাদা জোটে করায় মুসলিম ভোট বিহারে ভাগ হয়ে যেতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এমনকি ভাগ হতে পারে দলিত ভোটও। সেক্ষেত্রে কারা তার সুবিধা তুলবে কংগ্রেস জোট না বিজেপি জোট সেটাই প্রশ্নের।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে বিহারের কিষাণগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে মিম-এর কামরুল হুদা জয়ী হওয়ায় এবার জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন আসাদউদ্দিন ওয়াইসি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct