রঙ্গিলা খাতুন, খড়গ্রাম, আপনজন: এই সবেমাত্র মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে, ছোট্ট থেকেই ছবি আঁকাতে নেশা। এই নেশার শক থেকেই দেশের সব চেয়ে ক্ষুদ্রতম গ্রিটিংস কার্ড তৈরি করে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুললো খড়গ্রামের সম্রাট কর। মুর্শিদাবাদ জেলার খড়গ্রাম ব্লকের অন্তর্গত হরপুর গ্রাম বাসিন্দা মলয় চন্দ্র করের ছেলে সম্রাট কর। তার তৈরী ২ সেমি বাই ১.৫ সেমি মাপের গ্রিটিংস কার্ড ইন্ডিয়ার ক্ষুদ্রতম অভিবাদন কার্ড হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। খড়গ্রামের প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলে সম্রাটের এমন আবিষ্কার দেখে স্বাভাবিকভাবেই খুশি এলাকার মানুষ। তাছাড়া স্বপ্নের অনেকটাই বাস্তব সফলতায় আনতে পেরেছে বলেই মনে করছে সম্রাট। এই গ্রিটিংস কার্ডে মূল বিশেষত হল ১.৫ সেমি মাপের কার্ডে তিনটি স্তর রয়েছে প্রথম স্তরে রয়েছে দেশের পতাকা আঁকা, দ্বিতীয় স্তরে রয়েছে মধ্যে অশোক স্তম্ভ যা উপর থেকেই দেখা যাবে এবং শেষ স্তরে রয়েছে নেতাজি সুভাষচন্দ্রের আঁকা ছবি। অভিনব গ্রিটিংস কার্ডের জন্য রেকর্ড করেছেন সম্রাট। ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস বিষয়ে সম্রাট বলেন, ১১ মে এই কার্ড তৈরি করে ইমেল করি, তারপর ১৬ মে গ্রিটিংস কার্ড কনফর্ম করে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস। এরপর ডাকযোগে গ্রিটিংস কার্ড ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস মূল অফিসে পাঠানো হয়, তাদের পরীক্ষা নিরীক্ষার পর মিলে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস সন্মান।
তার বাড়িতে এসে পৌঁছায় শংসাপত্র, মেডেল ও পেন। ছোট থেকেই অঙ্কন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করায় বহু পুরস্কার এসেছে ঝুলিতে। তবে তাতেও সে পিছিয়ে থাকেনি। ছোট থেকেই আঁকা ও হাতের কাজে পারদর্শী ছিল সম্রাট। আর তাতেই ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম উঠল সম্রাটের। এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে ৪৫১ পেয়েছে সম্রাট। ভবিষ্যতে চিত্র শিল্পী হওয়ার স্বপ্ন আছে বলে জানিয়েছে সম্রাট। ভূগোলের দিগন্ত বিস্তৃত ছবির স্বাদ পেতে ভূগোল নিয়ে খড়গ্রাম হাইস্কুলের কলাবিভাগে ভর্তি হয়েছে। বাবা মলয় চন্দ্র কর পেশায় চাষী, মা গৃহবধূ সোনালী কর। মা, বাবা, বোন নিয়ে চারজনের সংসার। ছোট থেকেই ছবি আঁকায় পারদর্শী সম্রাট কর। আর সেই পারদর্শীতাই তাকে পৌঁছে দিল সাফল্যের শিখরে। দেশের ক্ষুদ্রতম গ্রিটিংস কার্ড বানিয়ে নজির তৈরি করল সম্রাট। আপাতত তার বড়ই ইচ্ছা এবং দাবি খড়গ্রাম হাইস্কুলে অঙ্কন শিক্ষকের ব্যবস্থা করা হোক।
ছবি: ইজাজ আহাম্মেদ সাহিন
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct