আপনজন ডেস্ক: ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলের আগ্রাসনে পুরো পৃথিবী প্রতিবাদ জানাচ্ছে। ফুটবল বিশ্বও এর বাইরে নয়। কয়েকদিন আগে মালদ্বীপকে হারিয়ে ফিলিস্তিনের সমর্থনে পতাকা নিয়ে দৌড়ান বাংলাদেশের ফুটবলাররা। গ্যালারিতেও ছিল পতাকার উপস্থিতি। এবার উয়েফার টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়নস লীগে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সেল্টিক সমর্থকরা পতাকা উড়িয়ে ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন জানালেন। তবে বাংলাদেশ বেঁচে গেলেও শাস্তির মুখোমুখি হতে হচ্ছে স্কটিশ ক্লাব সেল্টিককে।
গতকাল ঘরের মাঠ সেল্টিক পার্কে গ্যালারি পুরো ছেয়ে যায় ফিলিস্তিনের পতাকায়। যদিও ক্লাবের পক্ষ থেকে আগেই এটা করতে নিষেধ করা হয়েছিল। তবে সমর্থকরা সে কথায় কান দেননি। এই ঘটনার জেরে উয়েফার শৃঙ্খলা কমিটির শাস্তির মুখে পড়তে যাচ্ছে সেল্টিক। তবে একই কারণে ৭ বছর আগেও শাস্তি পেয়েছিল এই স্কটিশ ক্লাবকে।
২০১৬ সালে ইসরায়েলের ক্লাব হাপোয়েল বিয়ের শেভার বিপক্ষে ম্যাচে সমর্থকরা ফিলিস্তিনের পতাকা উড়ানোয় ৯ হাজার পাউন্ড জরিমানা দিতে হয় সেল্টিককে।
তবে এক বিবৃতিতে সেল্টিক ফিলিস্তিনে নিহত ও আহতদের প্রতি সহমর্মিতা জানায়। সেখানে তারা বলে, ‘আমরা দেখছি সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে পবিত্র ভূমিতে হাজার হাজার পুরুষ, নারী ও বাচ্চারা মারা যাচ্ছে, আহত হচ্ছে। স্পোর্টস সংঘাতের বিপরীতে গিয়ে শান্তি প্রচার করতে পারে। যারা ক্রমাগত কষ্ট পাচ্ছে তাদের জন্য সহানুভূতিও দেখাতে পারে।’
গ্যালারিতে পতাকা ওড়ানোয় নেতৃত্ব দিয়েছে সেল্টিকের সবচেয়ে বড় সমর্থক গোষ্ঠী দ্য গ্রিন ব্রিগেড। এর আগে অ্যাওয়ে ম্যাচে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল তাদের। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘যারা পতাকা ওড়াতে চায়নি তাদের ব্যক্তিগত অধিকারকে আমরা সম্মান করি। একই সঙ্গে যারা ওড়াতে চায় তাদের প্রতিও আমরা একই সম্মান আশা করি। ’
২০১৬ সালে সেল্টিককে জরিমানা করার সময় ক্যাম্পেইন করে ১ লাখ ৩০ হাজার পাউন্ড সংগ্রহ করে গ্রিন ব্রিগেড। সেটা ফিলিস্তিনে আহতদের চিকিৎসা ও বেথলহেমে সেল্টিকের নামে একটি ফুটবল অ্যাকাডেমি করতে ব্যয় করা হয়।
গতকাল অ্যাটলেটিকোর বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করে সেল্টিক। ম্যাচ শেষে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সেল্টিক ম্যানেজার ব্রেন্ডন রজার্স বলেন, ‘আমি শুধুই ফুটবল নিয়ে ভাবছি।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct