আপনজন ডেস্ক: আরও একটা যুদ্ধের সাক্ষী থাকছে বিশ্ব। তবে অনেকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে আশঙ্কা করছে। যুদ্ধের প্রারম্ভিক নমুনা দেখেই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের কালো মেঘ দেখা দিচ্ছে। বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট পুতিনের ঘোষণার পরেই ইউক্রেনে শুরু হয়েছে রাশিয়ার সেনা অভিযান। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের পরামর্শদাতা জানিয়েছেন, পুতিনের ঘোষণার ৪ ঘণ্টার মধ্যে সাধারণ নাগরিকসহ অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছে। রাশিয়ারও ৫০ সেনার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। তারা সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছে যে, রাশিয়া চেরনোবিলে আক্রমণ করলে পুরো ইউরোপ জুড়ে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে মহাবিপর্যয় দেখা দিতে পারে। অন্যদিকে, কৃষ্ণ সাগরে ন্যাটো-সদস্য তুরস্কের মালিকানাধীন একটি জাহাজ হামলার শিকার হয়েছে। ইউক্রেনের সরকারি উপদেষ্টারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, বর্জ্য অঞ্চলের অভ্যন্তরে লড়াই পারমাণবিক স্টোরেজ সুবিধাগুলোকে ধ্বংস করতে পারে, ফলে তেজস্ক্রিয়তা তৈরি হয়ে পুরো ইউরোপকে ঢেকে দিতে পারে। ন্যাটো-সদস্য তুরস্ক বলেছে যে, তাদের একটি জাহাজ ওডেসার কাছে একটি বোমা’য় আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। রাশিয়ার সামরিক হেলিকপ্টারগুলো ইউক্রেনের রাজধানীর উপরে টহল দিতে শুরু করে, আর সেনাবাহিনী ইউক্রেনের উত্তর, দক্ষিণ এবং পূর্ব দিক থেকে সর্বাত্মক আক্রমণ শুরু করে। রাশিয়ার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনের বিমানবন্দর এবং সামরিক ঘাঁটিতে আঘাত করে। ট্যাঙ্কগুলো সীমান্ত দিয়ে ইউক্রেনে প্রবেশ করে। এসময় প্রচুর হতাহতের খবর পাওয়া যায়। রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলে ‘সেনা অভিযান’ পরিচালনার ঘোষণা দেয়ার পর থেকে ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ইউক্রেনের সেনাবাহিনী বলেছে, তারা পাঁচটি রুশ বিমান ও একটি হেলিকপ্টার গুলি করে ভূপাতিত করেছে। ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘শান্ত থাকুন ও ইউক্রেনের রক্ষকদের ওপর বিশ্বাস রাখুন।’ অন্যদিকে, ইউক্রেনের চেরনোবিল পরমাণু কেন্দ্র রাশিয়া দখল করে নিয়েছে বলে ইউক্রেনের সরকারি সূত্র জানিয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct