আপনজন ডেস্ক: ক্রিপ্টোকারেন্সিও এত দ্রুতগতিতে ছুটছে না। কাগুজে অর্থে ইদানীং আর আস্থা থাকছে না অনেকের, ফলে ডিজিটাল মুদ্রায় বিনিয়োগ করছেন তাঁরা। বিট কয়েন কিংবা রসিকতা করে জন্ম দেওয়া দোজ কয়েনেরও দাম হু হু করে বাড়ছে। কিন্তু বিট কয়েনও গতিতে হার মানছে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে। মাঠে আগের সে ড্রিবলিং দেখা যায় না, ৩৭ বছর বয়সে ডিফেন্ডারদের এক ঝটকায় পেছনে ফেলা তাঁর পক্ষে ইদানীং আর নিয়মিত করা হয় না। কিন্তু ইনস্টাগ্রামে রোনালদো যেন বল্গা হরিণ। মাত্র ৮ মাসের মধ্যে ইনস্টাগ্রামে ১০ কোটি (১০০ মিলিয়ন) অনুসারী পেয়েছেন রোনালদো। সে খুশিতে আজ ইনস্টাগ্রামে ভক্তদের সবাইকে ধন্যবাদ দিয়েছেন রোনালদো। মাঠের খেলায় মেসির সঙ্গে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রোনালদো অনেক এগিয়ে। সবচেয়ে জনপ্রিয় তিন যোগাযোগমাধ্যমেই মেসির চেয়ে অনেক আগে থেকে সক্রিয়। সে তুলনায় মেসি একটু পরই যোগ দিয়েছেন ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামের দুনিয়ায়। সেখানে ইনস্টাগ্রামেই বেশি দেখা যায় মেসিকে। গত কোপা আমেরিকা জয়ের পর ইনস্টাগ্রামে একের পর এক পোস্ট করায় সেখানে তাঁর অনুসারী সংখ্যাও বেড়েছে অনেক। বিনোদন জগতের কিম কার্ডাশিয়ানকেও অনুসারী সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন পিএসজিতে যোগ দেওয়ার পরই। গত ছয় মাসে মেসি একে একে পেছনে ফেলেছেন সংগীতশিল্পী সেলেনা গোমেজ এবং অভিনেতা ও সাবেক রেসলার ডোয়াইন জনসনকে (দ্য রক)। মেসির অনুসারী সংখ্যা এখন ৩০ কোটি ৮১ লাখ। অনুসারী সংখ্যায় মেসি-রোনালদোর মধ্যে এখন শুধু কাইলি জেনার। মেসি তবু রোনালদোর চেয়ে অনেক পিছিয়ে। ইনস্টাগ্রামে অনুসারী সংখ্যা বাড়ার ফলে শুধু মানসিক তৃপ্তিই মেলে এমন নয়। ইনস্টাগ্রামে অনুসারী সংখ্যা বেশি থাকা মানেই তো স্পনসরের কাছ থেকে পোস্ট বাবদ বেশি অর্থপ্রাপ্তি। আর এদিক থেকে রোনালদো প্রতিনিয়ত একটা রেকর্ড গড়ছেন। ইউরো ও কোপা আমেরিকার সময়টাতে গতি একটু কমেছিল। তবু ইউরো শেষ হতে না হতেই আরও ২ কোটি ভক্তকে অনুসারী হিসেবে জুটিয়েছেন। এরপর তো দলবদল করে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডেই ফিরেছেন। আর তাতে আবার অনুসারী সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে পাগলের মতো। গত আগস্টে রোনালদোর অনুসারী ছিল ৩২ কোটির একটু বেশি, ওদিকে মেসির অনুসারী ছিল ২৪ কোটির মতো।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct